চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে

গতকাল রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ কথা জানান।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে

প্রথম নিউজ, অনলাইন: চীনের সঙ্গে বিএনপি’র সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ কথা জানান। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মনি ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরে চীনের রাষ্ট্রদূতের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসাটা আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। আমরা মনে করি যে, চীনের বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের যে কমিটমেন্ট, তাদের প্রতিশ্রুতি ডেভেলপমেন্টে এবং একই সঙ্গে তারা পরিষ্কার করে বলেছেন যে, তারা (চীন) আধিপত্যবাদে বিশ্বাস করেন না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বহু আগে থেকেই চীন সবসময় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যে প্রতিশ্রুতি তারা আগেও দিয়েছেন, এখনো দিচ্ছেন। একই সঙ্গে চীন সারা বিশ্বে যে ?গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন সেটাও আমরা এপ্রিসিয়েট করছি। বিশেষ করে অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে চীন যেভাবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করছে সেটার জন্য তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।

চীনের রাষ্ট্রদূত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অভিনন্দন জানানোর বিষয়টি উল্লেখ করে ফখরুল ইসলাম বলেন, চীন মনে করেন যে, বিএনপি’র সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হবে এবং বাংলাদেশে চীনের যে বিনিয়োগ জনগণের উন্নয়নের জন্য, দেশের উন্নয়নে সেটা আরও বৃদ্ধি পাবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সঙ্গে চীনের পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও গভীর হবে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গভীর থেকে গভীর হবে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, ওয়ান চায়না পলিসিতে বিএনপি সবসময় বিশ্বাস করে এসেছি, আমরা এখনো সেই ঘোষণাটা আরও দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, আমরা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা এবং পর্যালোচনা করেছি। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ও বিএনপি এক সঙ্গে কাজ করতে চায়। এ ব্যাপারে আমরা আজকে আলোচনাও করেছি। এই সম্পর্ককে আরও নিবিড় ও সুদৃঢ় করে আমরা কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সম্পৃক্ততার কথাও বলেন চীনের রাষ্ট্রদূত।