চিকেন নেকের কাছে ড্রোন উড়ানোয় বিধিনিষেধ

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: শিলিগুড়ি করিডোর বা চিকেন নেকের কৌশলগত গুরুত্ব মাথায় রেখে সেখানে বিয়ে বা সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানে ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এবিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ড্রোন যদি উড়াতেই হয় তাহলে আগেভাগে অনুমতি নিতে হবে। সেখানে নজরদারি করা ডিভাইসের অপব্যবহার রোধে অথবা ‘স্যাবোটাজ’ রোধে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টেলিগ্রাফ। এতে বলা হয়, শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার বিশ্বচন্দ ঠাকুর বলেছেন, এক্ষেত্রে পরিষ্কার নির্দেশ আছে। বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং শিলিগুড়ি আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে হওয়ার কারণে কোনো ইভেন্টে বা কোনো স্থানে ড্রোন উড়াতে হলে আগে থেকে ক্লিয়ারেন্স লাগবে। এটা ছাড়া ড্রোন উড়ানো যাবে না। এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রিপোর্টে বলা হয়, শিলিগুড়ির ভিতরে এবং এর আশপাশে বিভিন্ন বিয়ে বা করপোরেট ইভেন্টে ফটোগ্রাফি এবং ভিডিও ধারণের জন্য অনেক সময় ব্যবহার করা হয় হেলিক্যাম (রিমোট নিয়ন্ত্রিত মিনি কপ্টার)। কিন্তু গত সপ্তাহে রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে নজরদারি এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার পরিষ্কার নির্দেশনা দেয়। উত্তরবঙ্গের আটটি জেলার মধ্যে ৬টির সীমান্ত আছে বাংলাদেশের সঙ্গে। কিছু জেলার সীমান্ত আছে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে। পুলিশ সূত্রমতে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যাপকভাবে ড্রোন ব্যবহার করা হয়। এ কারণে তারা ওই নির্দেশনা দিয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র বলেছেন, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কাছাকাছি অবস্থান শিলিগুড়ির। একই সঙ্গে ভারত-চীন সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ অংশ আছে এর পাশে। এখানে বিদেশিদের আকাশপথে নজরদারি করার হুমকি উড়িয়ে দেয়া যায় না। এর কারণ, এখানে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আছে। ড্রোন ব্যবহার করে এসব স্থাপনার ছবি বা ফুটেজ ধারণ করার ফলে তাতে জাতীয় নিরাপত্তা সংকটে পড়তে পারে।
এছাড়া স্যাবোটাজের ঝুঁকি উড়িয়ে দেয়া যায় না। শিলিগুড়ি পুলিশের পাশাপাশি দার্জিলিং জেলা পুলিশও একই রকম বিধিনিষেধ নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন ইভেন্ট, উন্মুক্ত জায়গা, হোটেল, রিসোর্ট এমনকি ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই নির্দেশ প্রয়োগ করা হয়েছে। একই বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে মালদায়। সেখানে ড্রোনের ব্যবহার একেবারেই নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। এছাড়া উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরেও একই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ারে হাসিমারায়, বিশেষ করে ভারতীয় বিমান বাহিনীর স্টেশনকে ঘিরে থাকা এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত সপ্তাহে বিমান বাহিনীর এক তরুণ সীমানার বাইরে দেখার জন্য একটি গাছ বেয়ে ওঠেন। তাকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। তখন থেকেই ওই এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা বিষয়ক স্থাপনায় সার্বক্ষণিক সব সড়কে নজরদারি রাখছে পুলিশ।