ওষুধের দাম বাড়াতে আবারও ‘তোড়জোড়’

বাজারে ওষুধের সরবরাহ কম, স্টক হচ্ছে মিটফোর্ডে, সরকারের খুব বেশি তদারকি না থাকার অভিযোগ,  মৌন সম্মতি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের।

ওষুধের দাম বাড়াতে আবারও ‘তোড়জোড়’
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ, ঢাকা: চাল, ডাল, তেলসহ বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। এ অবস্থায় মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফায় আবারও ওষুধের দাম বাড়ানোর কথা শোনা যাচ্ছে। জ্বালানি তেল ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে ওষুধ কোম্পানিগুলোর চাপে অনেকটা বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধের দাম আবার বাড়ানো হলে এটি হবে সাধারণ মানুষের জন্য ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রায় দেড় হাজার জেনেরিকের (শ্রেণিগত বা জাতীয়) ২৭ হাজারেরও বেশি ব্র্যান্ডের ওষুধ তৈরি হয়। এগুলোর মধ্যে কেবল ১১৭টি ওষুধের মূল্য সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এর বাইরে যে ওষুধ রয়েছে, সেগুলোর মূল্য নির্ধারণ করে ওষুধ কোম্পানিগুলো। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন-সাপেক্ষে মূল্য নির্ধারণ হলেও এটি করার সময় সেখানে উপস্থিত থাকেন ফার্মেসি ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিরা। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসেনশিয়াল ড্রাগের (জীবনরক্ষাকারী ওষুধ) তালিকায় যেগুলো আছে, সেগুলোর তুলনায় তালিকায় নেই এমন ওষুধের বিক্রি বেশি। কিন্তু ওই তালিকা আর বড় হয় না। এদিকে, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের তালিকা না বাড়ার সুযোগ নিয়ে ওষুধ কোম্পানিগুলো নিজেদের ইচ্ছামতো দাম নিয়ন্ত্রণ করে।

রাজধানীর বাড্ডা এলাকার ‘মেডিসিন কর্নার’ নামক এক ফার্মেসির মালিক বলেন, শোনা যাচ্ছে আবারও দাম বাড়তে পারে। একদিন হয়তো হঠাৎ করেই ঘোষণা চলে আসবে। বাংলাদেশে তো আসলে জিনিসের দাম বাড়ার বিষয়ে কিছু বলা হয় না। দাম বাড়া বা কমার বিষয়ে কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। যখন খুশি প্রয়োজন মতো দাম বাড়িয়ে ফেলছেন সংশ্লিষ্টরা। সরকার যদি একবার বলে যে দাম বাড়বে, বেড়ে যায়। রাতারাতি সবকিছু হয়ে যায়। এখানে দেখভাল করার মতো আসলে কেউ নেই।

ওষুধের দাম বাড়ার কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এই বিক্রেতা বলেন, ‘ঠিক কী কারণে বাড়ছে এটা আসলে আমরা বলতে পারছি না। এটা তো বলা যাবে না যে তেলের দাম বাড়ায় ওষুধের দাম বেড়েছে। কারণ, তেলের সঙ্গে ওষুধের কোনো সম্পর্ক নেই। আর ওষুধের দাম বাড়ার বিষয়টি তেলের দাম বাড়ার আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে, এক মাস আগের বাড়তি দামের ওষুধগুলো বাজারে এসেছে গত কয়েকদিনে।’

নাপা এইচসহ প্যারাসিটামল জাতীয় প্রায় সবগুলো ওষুধের দাম বেড়েছে। এছাড়া গ্যাস, প্রেশার ও পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে।

ওষুধের দাম বাড়া প্রসঙ্গে মো. রফিকুল ইসলাম নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, ওষুধের দামটা আসলে থেমে নেই। কিছুদিন আগেই বেড়েছে। এখন আবার কিছু ওষুধের দাম বাড়তির দিকে। শুনছি আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

ওষুধের পাইকারি বাজার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড। সাধারণ বিক্রেতাদের আশঙ্কা, বাড়তি দামে বিক্রির জন্য বাজারে ওষুধ না ছেড়ে বড় বড় ব্যবসায়ীরা মিটফোর্ডে স্টক করছেন।

এ প্রসঙ্গে মনোয়ার হোসেন নামের এক ওষুধ বিক্রেতা বলেন, সরকার দীর্ঘদিন পর ওষুধের দাম বাড়িয়েছে। কিছু তো করার নেই। কাঁচামালের দাম আরও আগেই বেড়েছে। এখন বিষয় হলো দামটা নিয়ন্ত্রণ করা। মালামাল ঠিক মতো বাজারে ছাড়া, কোনো স্টক যেন না হয়, সেটা তদারকি করা। কিন্তু দেশে প্রায় সময়ই বেশি লাভে বিক্রির আশায় ওষুধ স্টক করা হয়।

‘মিটফোর্ডে কোটি কোটি টাকার মাল (ওষুধ) স্টক করা হয়, দাম বাড়লে সেগুলো ছাড়া হয়। ১০০ টাকার মাল ১০৫/১০৬ টাকায় বিক্রি করে। তারা যদি শতকরা পাঁচ টাকাও বাড়ায় তাহলে তো কোটি কোটি টাকা মুনাফা। ভোক্তাপর্যায়ে যেতে যেতে দামটা আরও বেড়ে যায়।মনোয়ার হোসেন আরও বলেন, শুনছি ৫৩টা ওষুধের দাম বাড়ছে। শিগগিরই হয়তো ১০০টিতে পৌঁছাবে।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, সম্প্রতি অনেকগুলো ওষুধের দাম বেড়েছে। বিষয়টি পুরোপুরি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা চাইলেই তো দাম বাড়াতে পারি না। তারা খুবই স্ট্রিক্ট (কঠোর)। তাদের অনুমোদন ছাড়া কিছুই হয় না।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ওষুধের দামে কোনো প্রভাব পড়বে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর এখন পর্যন্ত ওষুধের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। কারণ, দামের বিষয়টা পুরোপুরি নির্ভর করে বাইরে থেকে আসা কাঁচামালের ওপর। তবে, কাঁচামালের আমদানি-রপ্তানিতে কিছুটা প্রভাব পড়ে। এর মধ্যে আবার ডলারের দাম বেড়েছে।

‘যে ওষুধগুলো মানুষ বেশি কেনে, সেগুলোরই দাম বেড়েছে’— এ প্রসঙ্গে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘বিষয়টা আসলে ওরকম নয়। দাম বাড়ার বিষয়টি মূলত কাঁচামালের ওপর নির্ভর করে। নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু কাঁচামালের দাম বাড়ায় অনেক বছর ধরে ওষুধগুলোর দাম বাড়ানোর চেষ্টা ছিল, কিন্তু ওষুধ প্রশাসনের অ্যাপ্রুভাল (অনুমোদন) না পাওয়ায় দাম বাড়েনি। শেষপর্যায়ে এসে সরকার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

রেনেটা লিমিটেডের প্রফেশনাল সার্ভিস অফিসার (পিএসও) জহিরুল আলম বলেন, গত জুলাইয়ে হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানির ওষুধের দাম বাড়লেও, বাকিগুলোর বাড়েনি। এখন আমাদের কোম্পানি দাম বাড়ানোর বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

‘আমাদের ওষুধগুলোর দাম বাড়েনি বললেই চলে। আমাদের কমন একটি ওষুধ হলো রোলাক, এর দাম ১০ টাকা। এখনও সেটি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্যথানাশক এলজিন ট্যাবলেট আগে থেকেই আট টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের সবচেয়ে বেশি চলে ম্যাক্সপ্রো ট্যাবলেট। এর দাম দুই বছর আগে বাড়ানো হয়। এখনও সেই দামে বিক্রি হচ্ছে। ঠান্ডার ওষুধ ফেক্সো বা ফেনাডিন, এগুলো অনেক আগে থেকেই আট টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে দাম বাড়েনি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, গত জুলাইয়ে বাড়ানো হয়েছিল মূলত এসেনশিয়াল ড্রাগের দাম। যেগুলো সরকারের ফর্মুলা অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। এখন আবার শুনছি সরকারের ফর্মুলার বাইরে যেসব ড্রাগ রয়েছে, সেগুলোর কোনটার দাম কত হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। যেকোনো সময় সরকার বা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নতুন দাম ডিক্লেয়ার (ঘোষণা) করবে।

‘গত জুলাই মাসে সরকার ১১৭টি এসেনশিয়াল ড্রাগের মধ্যে ৫৩টির দাম বাড়িয়েছে। অথচ এগুলোর সব কিন্তু মার্কেটে (বাজার) নেই। মার্কেটে হাতে গোনা অল্প কয়েকটা ওষুধ ছিল। এখন নতুন করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সেই প্রোডাক্টগুলোর কিছু মার্কেটে আসতে শুরু করেছে।’

‘ওষুধের বাজারে দামের ক্ষেত্রে সরকারের খুব বেশি তদারকি না থাকায় কোম্পানিগুলো ৫৩টি ওষুধের বাইরেও ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছে। একই সঙ্গে এসেনশিয়াল ড্রাগের তালিকায় (ফর্মুলা দিয়ে যেগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয় না) না থাকা ওষুধগুলোর দামও বাড়ছে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বেড়েছে’— যোগ করেন এই অধ্যাপক।

ঢাবি অধ্যাপক ড. আব্দুল হামিদের মতে, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ প্রায় সবকিছুরই দাম বেড়েছে। এখন যদি দ্বিতীয় দফায় ওষুধের দাম বাড়ে, তাহলে সেটি সাধারণ মানুষের জন্য হবে ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’। মানুষ আসলে কোথায় যাবে, কী করবে? মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের সংসার চালাতে এখন হাঁসফাঁস অবস্থা। এ অবস্থায় ওষুধের দাম বাড়ালে সাধারণ মানুষ রোগে ভুগে মারা যাবে।

‘যাদের ক্ষমতা আছে, ব্যাংকে টাকা আছে, তাদের জন্য খুব বেশি সমস্যা হবে না। কিন্তু যাদের নেই, যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের ওষুধের পেছনে বাড়তি খরচ করার উপায় থাকবে না। হয় তাদের অন্য জিনিসে ছাড় দিতে হবে; চাল-ডাল খাওয়া বন্ধ করতে হবে, বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করতে হবে, নয় তো চিকিৎসার খরচ বন্ধ করে দিতে হবে।’

চাকরিজীবী হিসেবে আমাদেরই নাভিশ্বাস অবস্থা। সেখানে গরিব মানুষ, যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তাদের অবস্থা কী হবে? মানুষ তো এখন তিন বেলার জায়গায় দুই বেলা খেয়ে কোনোরকম বেঁচে আছে। নতুন করে ওষুধের দাম বাড়ালে তাদের ধুঁকে ধুঁকে মরা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না— বলেন ঢাবির এ অধ্যাপক।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র আইয়ুব হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের অনুমোদন ছাড়া কেউ দাম বাড়াতে পারে না। কেউ যদি বাড়িয়ে থাকে তাহলে সেটা অন্যায়। আমাদের কাছে যদি দাম বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়, আমরা সেটি যাচাই-বাছাই করে দেখি। তাদের আবেদন যদি যৌক্তিক হয়, তাহলে আমরা দাম বাড়িয়ে দেই।

কোনো কোম্পানি থেকে দাম বাড়ানোর আবেদন এসেছে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো আসলে রুটিন ওয়ার্ক (নিত্যকর্ম)। ডলারের দাম বাড়লে, তেলের দাম বাড়লে, কাঁচামালের দাম বাড়লে; ১১৭টি (সরকারের ফর্মুলা অনুযায়ী দাম নির্ধারণ হয়) ওষুধের বাইরে যেগুলো আছে, তারা আমাদের কাছে যথাযথ একটা ব্যাখ্যা দেবে। তারা দুই টাকায় বিক্রি করতে পারছে না, আড়াই বা তিন টাকায় বিক্রি করতে চায়। তখন আমরা তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেই। অনেক সময় কাঁচামালের দাম কমে যায়, তখন তাদের আমরা ওষুধের মূল্য কমিয়ে দিতে বলি। তারা কমিয়ে দেয়।’

ভোক্তার স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে ওষুধের সহজলভ্যতা ও সাশ্রয়ী করার আশাবাদ ব্যক্ত করলেও ওষুধ কোম্পানিগুলোর দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতাও তুলে ধরছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র আইয়ুব হোসেন।

তার ভাষায়, আগে যে টাকা দিয়ে ডলার কেনা হতো, এখন তা ১০০ টাকার ওপরে। ফলে ম্যাটেরিয়ালস (ওষুধের কাঁচামাল) কেনার খরচও বেড়েছে। কেউ হয়তো তার টার্নওভারের কারণে সারভাইভ করতে পারছে। কেউ আবার মনে করছে, আমি যদি একটু বাড়িয়ে না বিক্রি করি তাহলে লোকসানের মধ্যে পড়তে হবে।

‘একটা কোম্পানির লাভের ওপর অনেক কিছু জড়িত। তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, পারিবারিক চাহিদা মেটানোসহ অনেক বিষয়ে ভাবতে হয়। এখন ওষুধ তো এমন কোনো পণ্য না, ইচ্ছা হলো যে কেউ কিনে খাওয়া শুরু করল! একজন ডাক্তার ওষুধ লিখলেই মানুষ কিনে খায়, এটাই নিয়ম।’

ভোক্তাদের বিষয়টি টেনে তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার চায় ভোক্তারা যেন কম মূল্যে ওষুধটা পায়। ওষুধটা যেন বাজারে সহজলভ্য হয়। আমরাও সেটা মূল লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করি। সেই সঙ্গে আমরা দেখি ওষুধটা যেন মানসম্মত হয়। আমাদের সব ক্ষেত্রেই লোক লাগানো আছে। কোথাও যদি কোনো অনিয়ম পাই, আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি।

ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি, পরিবহন ও ডিস্ট্রিবিউশন ব্যয় বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে গত মাসেই (জুলাই) ৫৩টি ওষুধের দাম বাড়িয়েছে সরকার। এ প্রসঙ্গে ওষুধ বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বেশি দাম বেড়েছে স্কয়ার আর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের। এছাড়া এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসসহ আরও কিছু কোম্পানির ওষুধেরও দাম বেড়েছে। দেখা গেছে, যে ওষুধগুলো মানুষের বেশি প্রয়োজন, সেগুলোরই দাম বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় প্যারাসিটামল। এটির দাম ২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা। ১০০ এমএল বোতলের যেটি ছিল ৩০ টাকা, সেটি এখন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাপা ট্যাবলেট যেগুলো ছিল আট টাকা পাতা, সেটি হয়েছে ১২ টাকা। নাপা রেপিড আট টাকা থেকে হয়েছে ১৩ টাকা। নাপা এক্সটেন্ড আগে ছিল ১৫ টাকা (পাতা), এখন ২০ টাকা। দাম বাড়েনি নাপা এক্সট্রার।

স্কয়ার ফার্মার প্রেশারের ওষুধ এনজিলক ছিল ৮০ টাকা পাতা, এখন হয়েছে ১০০ টাকা। পেটের অসুখের অ্যামোডিস ট্যাবলেট ছিল ১২ টাকা পাতা, এখন হয়েছে ১৭ টাকা। কিছু কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের দাম বেড়েছে। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের সেফ- ৩ ট্যাবলেট (৩০ এমএল) ছিল ১৩৫ টাকা, এখন হয়েছে ১৪৫ টাকা।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom