ই-কমার্সের অসৎ উদ্যোক্তাদের আনা হচ্ছে আইনের আওতায়
ইতোমধ্যে অভিযুক্ত আটটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে
প্রথম নিউজ, ঢাকা: ই-কমার্সের নামে প্রতারণা, অগ্রিম টাকা নিয়ে সময়মতো পণ্য না দেওয়া, অহেতুক সময়ক্ষেপণ, গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ, টাকা পাচার, পালিয়ে যাওয়া ইত্যাদি অভিযোগে অসৎ উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হওয়ার পর মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের মধ্যে অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
সবশেষ ধরা পড়েছে আদিয়ান মার্টের কর্মকর্তারা। গত ২৯ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা ভিক্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জুবাইর সিদ্দিকী ওরফে মানিক, তার ছোট ভাই মাহমুদ সিদ্দিকী ওরফে রতন ও বাবা আবু বকর সিদ্দিক এবং ব্যবস্থাপক মিনারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৬) সদস্যরা। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ই-কমার্স খাতে প্রথমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করে নিরাপদ ডট কমের প্রধান নির্বাহী শাহরিয়ার খানকে। এরপর ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার আমানউল্লাহ ও সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার নাজমুল আলম গ্রেফতার হয়। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান আত্মসমর্পণের পর জামিনের আবেদন জানালে তা নাকচ করেন আদালত। একই প্রতিষ্ঠানের অপর দুই কর্মকর্তা বীথি আকতার ও কাওসার পলাতক বলে জানা গেছে।
গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী মো. রাসেল ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। তাদের পর ধামাকা শপিংয়ের সিওও সিরাজুল ইসলাম রানা; প্রতিষ্ঠানটির মোবাইল, ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল শাখার প্রধান ইমতিয়াজ হাসান সবুজ এবং ইলেক্ট্রনিকস শাখা প্রধান ইব্রাহিম স্বপন গ্রেফতার হয়। একই প্রতিষ্ঠানের অনেকে এখনও পলাতক।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় আরও আছে রিং আইডির পরিচালক সাইফুল ইসলাম, কিউকমের প্রধান নির্বাহী মো. রিপন মিয়া ও হেড অফ সেলস, কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের দায়িত্বে থাকা আরজে নীরব, এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেসের পরিচালক আল-আমিন ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী শারমীন আক্তার।
এছাড়া সিরাজগঞ্জ শপিংয়ের প্রধান নির্বাহী জুয়েল রানার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। যদিও তিনি এখন পলাতক। তার মতোই পলাতক আলাদিনের প্রদীপের প্রধান নির্বাহী মেহেদী হাসান মুন।
দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ‘গ্রাহক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযোগ পেলে ই-ক্যাব সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত আটটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। আরও কয়েকটি অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত করার প্রক্রিয়া চলছে।’
ই-ক্যাবের এই নেতার আশা, ‘পলাতক অসৎ উদ্যোক্তাদের আইনের আওতায় আনা হলে ই-কমার্স খাতে বিরাজমান সমস্যাগুলো দূর হতে পারে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: