সুইস ব্যাংকগুলোতে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ রেখেছে বাংলাদেশিরা
বাংলাদেশ থেকেও অনেক বিত্তশালী গোপনে টাকা সরিয়েছেন এসব ব্যাংকে
প্রথম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ হাজার কোটির বেশি টাকা সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা বাংলাদেশিদের। এ অর্থ দেশে বিনিয়োগ হলে বেশি মুনাফার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
৫ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রেখেছেন বাংলাদেশি নাগরিকরা। এসব অর্থ দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হলে সুইস ব্যাংকের সুদের চেয়ে বেশি মুনাফা মিলবে, আরো সচল হবে অর্থনীতি। সুইস ব্যাংকে টাকা জমানো বাংলাদেশিদের এমন আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান। এছাড়াও সুইস ব্যাংকের অর্থে হাইটেক পার্ক ও ইকনোমিক জোনে রয়েছে বড় বিনিয়োগ সম্ভাবনা।
যারা বিপুল অর্থবিত্তের মালিক। কিন্তু সবার নজর এড়িয়ে সেটি নিরাপদে কোথাও রাখতে চান তারাই অ্যাকাউন্ট খুলে বসেন সুইস ব্যাংকে। সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে জানা যায়- বাংলাদেশ থেকেও অনেক বিত্তশালী গোপনে তাদের টাকা সরিয়েছেন এসব ব্যাংকে।
সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড-২০২০’ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, সব মিলিয়ে ৫৬ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ জমা আছে বাংলাদেশি নাগরিকদের। অথচ ২১ বছর ধরে সুইস ব্যাংকগুলোতে অর্থ জমা রাখার গড় সুদ মাত্র শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। এত কম সুদে টাকা ব্যাংকে ফেলে না রেখে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আহ্বান চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিমের।
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে এবং এনআরবি' এর অনেকের সঙ্গেই কথা হয়েছে, তারা তাদের কিছু ইস্যু তুলে ধরেছে। যেগুলো আমরা আমাদের প্যানেলে দেখেছি। সুইস ব্যাংকে যাদের অর্থ রয়েছে আমরা চাই সেগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা হোক।
বাংলাদেশ থেকে নানাভাবে অবৈধ উপায়ে পাচার হওয়া অর্থ যেমন সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা হয়, তেমনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরাও দেশটিতে অর্থ জমা রাখেন। তাই সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশিদের মোট অর্থের মধ্যে বৈধ-অবৈধ সব অর্থই রয়েছে। যা থেকে বড় বিনিয়োগ হতে পারে বাংলাদেশে।
অর্থনীতি ও কোম্পানি আইন বিশ্লেষক ব্যারিস্টার এ এম মাসুম বলেন, সুইস ব্যাংকে যাদের টাকা আছে তারাও কিন্তু নিট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেশের ক্যাপিটাল মার্কেট এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক খাতেও বিনিয়োগ করতে পারে।
সুইজারল্যান্ডে এখন ২৫০টি ব্যাংকের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশটির বাইরে থেকে এসব ব্যাংকে ইনভেস্টমেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইলে গুণতে হয় কমপক্ষে আড়াই কোটি টাকা।