আশঙ্কাজনক হারে কমছে ইতালির জনসংখ্যা
সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: গত কয়েক বছর ধরে আশঙ্কাজনক হারে কমছে ইতালির জনসংখ্যা। নিম্ন জন্মহারের কারণে দেশটির জনসংখ্যা আগের তুলনায় বেশ কমে গেছে বলে জানিয়েছে ইতালির সরকারি পরিসংখ্যান দপ্তর ইসতাত। জন্মহারে যদি নাটকীয় কোনো পরিবর্তন না ঘটে, সে ক্ষেত্রে আরও অন্তত ৭০ বছর জনসংখ্যা কমে যাওয়ার এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে ইসতাত জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ইতালির জনসংখ্যা ছিল পাঁচ কোটি ৯০ লাখ। ২০২৪ সালে মাত্র এক বছরে জনসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ কোটি ৮৯ লাখে। বর্তমানে যে বার্ষিক জন্মহার, তাতে বড় পরিবর্তন না ঘটলে ২০৩০ সালে ইতালির জনসংখ্যা হবে পাঁচ কোটি ৮৬ লাখ। তারপর ২০৫০ সালে জনসংখ্যা হবে পাঁচ কোটি ৪৮ লাখ এবং ২০৮০ সালে এ সংখ্যা নেমে আসবে চার কোটি ৬১ লাখে। অর্থাৎ শতকরা ভিত্তিতে হিসাব করলে, আগামী ৭০ বছরে ইতালির মোট জনসংখ্যা ২২ শতাংশ হ্রাস পাবে।
জনসংখ্যা হ্রাসের পাশাপাশি আগামী কয়েক দশকে ইতালিতে ৬৫ বছর বা তার অধিক বয়সিদের সংখ্যা বাড়বে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হ্রাস পাবে কম বয়সিদের সংখ্যা। আগামী ২০৫০ সাল পর্যন্ত বয়স্ক মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বাড়বে দক্ষিণ ইতালিতে।
ইসতাতের হিসাব অনুযায়ী, আগামী দুই দশকে ইতালিতে প্রায় ১০ লাখ পরিবার গঠিত হবে। তবে এসব পরিবারের প্রতি চারটির মধ্যে সন্তান থাকবে মাত্র একটি বা তারও কম সংখ্যক পরিবারের। অর্থাৎ আগামী কয়েক দশকে নিঃসন্তান দম্পতির সংখ্যা বাড়বে ইতালিতে। তবে এই সঙ্কট মোকাবেলার লক্ষ্যে দেশটির সরকার গত বছরের শেষের দিকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইউরো অঞ্চলের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে নারীদের কাজ এবং মাতৃত্বকে গুরুত্ব দিতে ইতোমধ্যে একাধিক পদক্ষেপ চালু করা হয়েছে। গর্ভাবস্থার সপ্তম মাস থেকে জন্মের পর ২১ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে নানা আর্থিক সুবিধার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে দেশটিতে।