অস্ত্র-মাদক মামলায় সম্রাটের অভিযোগ গঠন শুনানি ৩১ জানুয়ারি

ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে অস্ত্র ও ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারে আদালতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার চার্জগঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।

অস্ত্র-মাদক মামলায় সম্রাটের অভিযোগ গঠন শুনানি ৩১ জানুয়ারি

প্রথম নিউজ, ঢাকা: রাজধানীর রমনা থানার অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুই মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (৮ অক্টোবর) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে অস্ত্র ও ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারে আদালতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার চার্জগঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন সম্রাট আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা প্রদান করেন। এরপর সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা দুই মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৩১ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেন। সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। তিনি আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা এনামুল হক আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেন।

আসামিদের বিদেশ গমনের তথ্য পর্যালোচনা করে জানা যায়, সম্রাট ২০১১-২০১৯ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাইয়ে দুবার এবং একবার হংকং ভ্রমণ করেন। একই সময়ে আরমান ২৩ বার ভ্রমণ করেন সিঙ্গাপুর।

২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসে। এরপর থেকেই তাকে নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। অভিযান শুরুর পর হাই প্রোফাইল কয়েকজন গ্রেফতার হলেও খোঁজ মেলেনি সম্রাটের। এসবের মধ্যে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাট ও আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে ঢাকায় এনে তাদের করা হয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ।

ওইদিন দুপুর ২টার দিকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে বাহিনীটির একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে। কার্যালয়ে অবৈধভাবে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করা হয়। বর্তমানে সম্রাট জামিনে মুক্ত রয়েছেন।