১০০ কোটি টাকা খরচের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিল

একশ কোটি টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার পর এটি বাতিল

১০০ কোটি টাকা খরচের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিল

প্রথম নিউজ, ঢাকা: ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প বাতিল করেছে সরকার। অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার ফলে পিপিপি বা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির এ প্রকল্প আর বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এর পরিবর্তে বর্তমানের ফোরলেন মহাসড়ককে আরও সম্প্রসারণ করা হবে। যা সরকার নিজে করবে। 

আজ রোববার দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। 

তিনি বলেন, ‘যেহেতু জাতীয় মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নীত করা হবে এবং পাশে সার্ভিস লাইন নির্মাণ করা হবে, সারাদেশব্যাপী এটা হচ্ছে। সরকার এটি করবে, এটাই হচ্ছে মূল সিদ্ধান্ত। এটা পিপিপিতে হওয়ার কথা ছিল। এখন পিপিপিতে হচ্ছে না, তবে সেখানে চার লেনের মহাসড়ক হবে এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’

একশ কোটি টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার পর এটি বাতিল হলো কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওটা একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি ছিল। সেজন্য টাকাটা গচ্ছা যায়নি।

জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের প্রস্তাব ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ সিসিইএ সভায় নীতিগত অনুমোদন হয়। এরপর সমীক্ষা পরিচালনা এবং বিশদ নকশা প্রণয়ন করা হয়।

পরবর্তীতে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ না করে বিদ্যমান ফোরলেন বিশিষ্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রশস্তকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নিমার্ণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে, আজকের বৈঠকে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে নির্মাণের কার্যক্রম বাতিলের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয় এবং তাতে অনুমোদন দেওয়া হয়।

সামসুল আরেফিন আরও জানান, আজকের বৈঠকে হাতিরঝিল রামপুরা সেতু থেকে বনশ্রী-শেখের জায়গা হয়ে ডেমরা পর্যন্ত মহাসড়ক (চিটাগাং রোড মোড় এবং তারাবো লিংক মহাসড়কসহ) পিপিপি ভিত্তিতে ফোরলেনে উন্নীতকরণের প্রস্তাবটিও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া প্রস্তাবটিতে বলা হয়, রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক ৪-লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। পিপিপি ভিত্তিতে বিনিয়োগকারী চায়না কমিউনিকেশনস কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনকে (সিআরবিসি) নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর সিসিইএ সভায় উপস্থাপন করা হলে আরও কিছু তথ্য-উপাত্তসহ স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। সে অনুসারে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি সিসিইএ সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে পিপিপি চুক্তিটি কর্তৃপক্ষকে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। পিপিপি কর্তৃপক্ষের মতামত এবং সার্বিক দিক বিবেচনায় বর্ণিত পিপিপি প্রকল্পে বিনিয়োগকারী হিসেবে সিসিসিসিএল এবং সিআরবিসিকে নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom