হাসপাতালে নেওয়ার ১৩ মিনিটে যুবলীগ নেতার মৃত্যু, চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ
প্রথম নিউজ, দিনাজপুর : দিনাজপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার ১৩ মিনিট পরে যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। এতে গাফিলতির কারণে মৃত্যুর অভিযোগ এনে হাসপাতালে যুবলীগ নেতারা জড়ো হলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এই ঘটনা বিভাগীয় তদন্ত করে কারও গাফিলতি থাকলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ডায়রিয়াজনিত কারণে বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকালে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন যুবলীগ নেতা মোস্তফা কামাল কুরেশি (৪০)। হাসপাতালে তাকে দুটি স্যালাইন পুশ করা হয়। এ সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কুরেশি দিনাজপুর পৌরসভার অন্তর্গত দুই নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার মৃত্যুর খবর বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে জড়ো হয় এবং উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
রোগীর স্বজন ও নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সময়মতো চিকিৎসা না দিয়ে গাফিলতি ও ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে হট্টগোল শুরু হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জরুরি বৈঠক করে বিষয়টি সমাধানে আনেন। এ সময় বিভাগীয় কমিটি করে বিষয়টি তদন্তের কথা জানান শহর আওয়ামী লীগের শামীম আলম বাবু ও হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. পারভেজ সোহেল রানা।
আরএমও বলেন, বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে ডায়রিয়াজনিত এক রোগী হাসপাতালে আসে। জরুরি ভিত্তিতে তার চিকিৎসা শুরু করা হয়। বমি ও পাতলা পায়খানার কারণে শরীরে পানি ও লবণের স্বল্পতা দেখা দিলে দুটি স্যালাইন শরীরে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত পানি ও লবণের ঘাটতির কারণে হার্ট ঠিক ভাবে কাজ করে না এতে রোগী মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, তাকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার সময় পাওয়া যায়নি। বাসা থেকে আনার পরই আমরা চিকিৎসা শুরু করি। ১৩ মিনিট সময় পেয়েছি আমরা। রোগীর স্বজনরা যে অভিযোগ করছে তা সঠিক নয়, আমাদের কোনও ভুল ছিল না। সবার সঙ্গে আমরা কথা বলে বিষয়টি বুঝিয়েছি। এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। যদি কোনও গাফিলতি কারও থেকে থাকে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।