প্রথম নিউজ, ঢাকা: হাট-বাজার খোলা, বানিজ্যমেলা চলছে। দশটা,পাঁচটা অফিস আদালতের সময় সূচীও বহাল। বন্ধ হয়নি নির্বাচন নামের তামাশা। তবে কাল থেকে জারি হচ্ছে নতুন হুকুম। বাসে অর্ধেক যাত্রী নিতে হবে। খোলা জায়গায় সমাবেশ হবে বন্ধ। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট অমেক্রন ঠেকাতে এগুলোসহ ১১দফা হুকুম তামিলের নির্দেশ দিয়েছেন হুজুর! হুজুরের আদেশ তো চমৎকার..এ মতের সাথে অমতকার!
হিরক রাজ হচ্ছে বাটপার..!
বিরোধী দলের জনসভায় দুইশো,তিনশো লোক হয়না! এমন হাস্যরস সরকারী দল প্রায়শ: বলে কিন্তু খালেদা জিয়ার জন্য দেশের বিভিন্নস্থানে আয়োজিত জনসভায় মানুষের উপস্থিতি দেখে, হিরকরাজের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে.. বোধ করি সে কারনে চারশো কি পাচশো আক্রান্ত দেখানোর দুদিন পরই পুনঃপৌনিকভাবে হাজার, দুই হাজার, কিম্বা তিনহাজার আক্রান্ত দেখানো হলো.. পরিস্থিতি কি সত্যিই এমন জানিনা! সরকারের কোনো কিছুতেই আর বিশ্বাস পাইনা.. বিএনপি বহুদিন পর আন্দোলনের ওয়ার্মআপ শুরু করেছে। সেটা দেখে হয়তো সরকারের নীতিনির্ধারকরা ভ্রু কুচকেছেন। হ্যা। এটাই বাস্তবতা! বেগম খালেদা জিয়া এখনো দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক। তার প্রতি প্রতিহিংসা। দেশের সাধারন মানুষ ভালো চোখে নেয়নি। তাঁকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ভরে যে কথা বলে তাকেও দেশের মানুষ পছন্দ করেনা। এই যেমন আজ বিকেলে অামি একটা ফোন পেলাম। প্রথমবার ধরিনি। অচেনা নাম্বার আবার ফোন পেলাম সন্ধ্যায়। অনিচ্ছাসত্ত্বেও ধরলাম। ওপর প্রান্তে একজন নারী কন্ঠ.. বললেন, খালেদা জিয়ার জন্য আমি দুদিন রোজা রেখেছি,নফল রাকাত পড়েছি। আর প্রতি ওয়াক্তে তার সুস্থতা কামনা করে দোয়া করি..তাকে বিদেশে পাঠালে কি এমন ক্ষতি হতো সরকারের। আমি বললাম তিনি দন্ডিত। ওই মহিলা বললেন,আমি বিশ্বাস করিনা..আপনি সাংবাদিক, তাই আপনার কাছে আমার প্রতিবাদটা করে রাখলাম। আমি জিজ্ঞেস করলাম কে আপনি.. তিনি পরিচয় না দিয়েই ফোনটা কেঁটে দিলেন। এই ফোনটার ব্যাখা কি! আমি জানিনা।
এবার বলি, আমার কথা। বেগম জিয়া কোন দুর্নীতি করতে পারেন,সেটা আমি বিশ্বাস কেন,আমি বহুভাবে সেটা জানার চেষ্টা করেছি, কিন্ত কোনো প্রমান পাইনি।
বেগম জিয়ার মাথায় এখন ৩৪ টি মামলা এর মধ্যো
৪টি মামলা সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলের।
অন্য ৩০টি বর্তমান সরকার আমলের। বিচারাধীন ১৯টি। তদন্তাধীন ১২টি। স্থগিত ৩টি।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারীর পর মঈন-ফখরুদ্দিন সরকারের অনিয়মতান্ত্রিক সরকার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করে আরো ৬টি মামলা। ১৫টি মামলার ৬টি রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। আর হাইকোর্টের মাধ্যমে বাতিল করিয়ে নেয়া হয় ৯টি মামলা।
২০১০ সালের ৩ মার্চ থেকে শুরু করে ৩০ মে পর্যন্ত মাত্র তিন মাসেই ৯টি দুর্নীতি মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চ। সেই সময় এই দুটি বেঞ্চের একটি বেঞ্চের বিচারপতি ছিলেন বিচারপতি মো. শামসুল হুদা ও বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী এবং অপর বেঞ্চের বিচারপতি ছিলেন এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং বিচারপতি বোরহান উদ্দিন। এই দুই বেঞ্চের দুই সিনিয়র বিচারপতি ছিলেন শামসুল হুদা ও মানিক।
তাহলে বুঝুন.. বেগম জিয়া ওয়ান ইলেভেনের মামলায় ঝুলছেন.. আর পই পই করে শেখ হাসিনা সব মামলা থেকে খালাস!
অথচ! প্রথমা প্রকাশনি থেকে বের হওয়া সাবেক বিচারপতি হাবিবুর রহমানের বইতে অাছে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাষ্টের অর্থ কিভাবে শেখ হাসিনা তুলতেন!
পরিহাস্য হচ্ছে,তুমি হিরকরাজ সাধু হলে আজ...
লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্ট মুজতবা খন্দকারের ফেইজবুক ওয়াল থেকে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: