তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচার মানুষ আর বিশ্বাস করে না

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভয় পায় সরকার। সে জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিরামহীনভাবে। তাঁর বিরুদ্ধে সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী, এমপি কিংবা দলীয় নেতারা নানা মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আজ দেখলাম একটি পত্রিকায় তারেক রহমানকে সমালোচনা করে একটি আর্টিকেল। ইনিয়ে-বিনিয়ে নানাভাবে মিথ্যা উপমা দেওয়ার অপচেষ্টা হয়েছে আর্টিকেলটিতে। কিন্তু বাংলাদেশের কোন পর্যায়ের মানুষ এমন লেখকের আর্টিকেল বা লেখা কিংবা কথা বিশ্বাস করে না। তারেক রহমানকে নিয়ে কোন অপপ্রচার মানুষ আর বিশ্বাস করে না।

তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচার মানুষ  আর  বিশ্বাস করে না
তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচার মানুষ আর বিশ্বাস করে না

প্রথম নিউজ, রাশেদুল হক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভয় পায় সরকার। সে জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিরামহীনভাবে। তাঁর বিরুদ্ধে সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী, এমপি কিংবা দলীয় নেতারা নানা মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আজ দেখলাম একটি পত্রিকায় তারেক রহমানকে সমালোচনা করে একটি আর্টিকেল। ইনিয়ে-বিনিয়ে নানাভাবে মিথ্যা উপমা দেওয়ার অপচেষ্টা  হয়েছে আর্টিকেলটিতে। কিন্তু বাংলাদেশের কোন পর্যায়ের মানুষ এমন লেখকের আর্টিকেল বা লেখা কিংবা কথা বিশ্বাস করে না। তারেক রহমানকে নিয়ে কোন অপপ্রচার মানুষ আর বিশ্বাস করে না। 

বর্তমানে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহদ্রব্যমুল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। এর উপর দফায় দফায় বেড়েছে গ্যাস -বিদ্যুত,  জ্বালানির দাম।  ওয়াসার পানির দাম দয়েক দফা বৃদ্ধি পেয়েছে। সব জিনিসের বাজারে আগুন, সে আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশের সব শ্রেনী-পেশার মানুষ। কৃচ্ছতা সাধন করেও মানুষ এখন আর চলতে পারছে না। এছাড়াও বাসা ভাড়া, বাস ভাড়া, ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার খরচ, ওষুধ ও চিকিৎসা খরচসহ মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারছে না অর্ধেকের বেশি জনগোষ্ঠী। দেশে কোটি কোটি শিক্ষিত জনগোষ্ঠী এখনও বেকার। কাজ না পেয়ে তারা সংসারের অভিশাপ হয়ে জীবন যাপন করছে। সীমাহীন লুটপাটে ব্যাংকগুলো খালি হয়ে গেছে। ডলার সংকটসহ নানা কারণে দেশের অর্থনীতি এখন ধ্বংসের শেষপ্রান্তে। ব্যবসা বাণিজ্যেও ধস নেমেছে। উন্নয়নের নামে ঋণ করে ঘি খাওয়ার ফলে মাথাপিছু বিদেশী ঋণতো বাড়ছেই। এমন অবস্থায়  কোন লেখক  তারেক রহমানকে নিয়ে কি মিথ্যা রচনা লিখলো তাতে মানুষের কি যায় আসে।

তারেক রহমানকে নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয় ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটের বিশাল বিজয়ের পর। সে নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পিছনে থেকে দলকে বিজয়ী করতে মুখ্য ভুমিকা রেখেছিলেন তারেক রহমান। এরপর ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমুলে দলকে সংগঠিত করতে বিশেষ ভুমিকা পালন করেন তিনি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময়ে টিম গঠন করে দেশের উন্নয়নে কাজ করেন তিনি। মাছ চাষ, হাসঁ-মুরগী, গরু-ছাগল পালন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করেন। একই সঙ্গে তৃণমূলে দলকে সংগঠিত করতে কাজ করেন তিনি। একটি গোষ্ঠী তার কাজকে সহ্য করতে না পেরে তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার দিতে থাকেন। যার সঙ্গে যোগ দেন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র কারীরাও। পত্র-পত্রিকায় ব্যাপকভাবে মিথ্যা রটনা চালায় একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী। রাজনৈতিক সমাবেশে তারেক রহমানের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। কিন্তু   বিগত ১/১১ এর সরকার দেশে-বিদেশে তন্যতন্য করে খুঁজেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে নি। ১/১১ এর পর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসলে নানা মিথ্যা স্বাক্ষী সাজিয়ে অসংখ্য মামলায় আসামি করা হয় তাঁকে। রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে দেওয়া হয় সাজাও।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলায় ন্যায় সঙ্গত রায় দিয়ে বিচারককে দেশ ছাড়তে হয়েছে। তারেক রহমান বিদেশে থাকলেও এখনও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা অব্যাহত রয়েছে। সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখার পর থেকে দলের দায়িত্ব নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করছেন তারেক রহমান। তাঁর নেতৃত্বে দল এখন অনেক শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ। সরকার ভেবে ছিল বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রেখে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। কিন্তু তারেক রহমান দলের হাল ধরায় সরকারের সে আশা পুরণ হয়নি। বরং তাঁর বাবা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যেভাবে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভুমিকা রেখেছিলেন, পরবর্তীতে আবার দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর মা বেগম খালেদা জিয়া যেভাবে আন্দোলন করে স্বৈরাচার এরশাদকে হটিয়ে গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার করেছিলেন।

তারেক রহমানও দেশের হারানো গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার এবং মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সে নেতৃত্বে তিনি সফল হবেন বলে দেশবাসী বিশ্বাস করে।  তিনি বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে আছেন। লেখক: সহ-সভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: