Ad0111

সুনামগঞ্জে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ, হাসপাতালে শয্যা সংকট

প্রতিদিনই জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন নারী-শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ।

সুনামগঞ্জে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ, হাসপাতালে শয্যা সংকট

প্রথম নিউজ, সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত নানা রোগের প্রকোপ। প্রতিদিনই জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন নারী-শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলা থেকে জ্বর-সর্দি, হাঁপানি ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় কনকনে শীতের মধ্যেও হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।

সরজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের চারপাশে দুর্গন্ধ। ভর্তি রোগীরে বিছানা, পর্দাসহ বস কাপড়েই ময়লা। বালিশগুলো তেল চটচটে। চিকিৎসা নিতে আসা শিশুরা অযত্নে-অবহেলায় পড়ে আছে মেঝেতে। শুধু তাই নয় শিশু ওয়ার্ডের সামনে নেই হাত ধোয় কিংবা জীবাণুনাশকের ব্যবস্থা।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালে ৭০০ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। যার ফলে হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগীর চাপ। আমরা তাদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে লোকবল ও চিকিৎসক সংকটের কারণে আমাদের কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সুনামগঞ্জে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত নানা রোগের প্রকোপ। প্রতিদিনই জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন নারী-শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আমবাড়ি গোপালপুর গ্রাম থেকে আসা আরশাদ আলী বলেন, ‘ছেলে গত কয়েকদিন ধরে খুব অসুস্থ। স্থানীয় ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। গত রাতে তাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চারদিকে খুব দুর্গন্ধ।’

জামালগঞ্জ ভিমখালী ইউনিয়ন ভান্ডা গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদা বেগম বলেন, ‘তিনদিন হয় ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু হাসপাতালের বিছানা নোংরা। কেউ পরিষ্কার করতে আসে না। এছাড়া গত কয়েকদিনে হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে একটি ওষুধও পাইনি।

সুনামগঞ্জে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত নানা রোগের প্রকোপ। প্রতিদিনই জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন নারী-শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৈকত দাস বলেন, ‘শীতে শিশুদের প্রতি একটু বিশেষ নজর রাখলে ঠান্ডাজনিত রোগ এড়িয়ে যাওয়া যায়। শিশুকে গরম পানিতে গোসল করানো, গরম জামা-কাপড় পরানো, ঠান্ডা হাওয়ায় ঘুরতে বের না হওয়া। তাহলে এসব ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে মুক্তি পাবে শিশুরা।’

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনিসুর রহমান  বলেন, ‘শীতের প্রকোপ বাড়ায় বেশিরভাগ শিশু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তবে আমাদের হাসপাতালে লোকবল, শয্যা ও চিকিৎসক সংকট থাকায় নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের জানানো হয়েছে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news