সন্ত্রাসী কায়দায় নয়, গণতান্ত্রিক উপায়ে এ সরকারকে বিতাড়িত করা হবে: গয়েশ্বর

আজ বুধবার (৮ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বেচ্ছাসেবক দলের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সন্ত্রাসী কায়দায় নয়, গণতান্ত্রিক উপায়ে এ সরকারকে বিতাড়িত করা হবে: গয়েশ্বর
বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

প্রথম নিউজ, ঢাকা: সন্ত্রাসী কায়দায় নয়, গণতান্ত্রিক উপায়ে এ সরকারকে বিতাড়িত করা হবে বলে জানিয়েছেন  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, বলেছেন, সরকারের সব দুর্নীতি, অনিয়ম আর লুটপাটের হিসাব জনগণকে দিতে হবে।

আজ বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বেচ্ছাসেবক দলের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি এবং গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়  ।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বলেছে, ৭ নভেম্বর এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। সেটাকে সরকারের লোকেরা বলতে চায়, তাদের স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।  জাতীয়তাবাদী দল কোন খুনিদের দল না। খুন খারাবি বিশ্বাস করে না। সন্ত্রাসী কায়দায় নয়, গণতান্ত্রিক উপায়ে এ সরকারকে বিতাড়িত করা হবে। কারও দেহত্যাগে বিএনপি বিশ্বাস করে না, বরং সরকারের পদত্যাগ চায়। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেলায় জেলায় প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। তাহলে ক্ষমতাসীনরা পালাবার পথ পাবে না। 

সরকারের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপি কারও দেহত্যাগে বিশ্বাস করে না। বিএনপি বিশ্বাস করে সরকারের পদত্যাগে। দেশটাকে বাঁচাতে দিন জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দিন।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার করার জন্য ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লব এর মধ্য দিয়ে বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে জনগণের কাতারে এসেছেন। ৭ নভেম্বর জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমী শক্তির একটি অনুপ্রেরণা স্লোগান। এর চেতনা গনতন্ত্রের মুক্তির চেতনা।
 
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, 'ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনারা বলছেন, আপনাদের নেত্রী কে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা মারার হুমকি দিব কেন? এ অভ্যাস আমাদের নেই, আপনাদের আছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব আবার দুঃখ করে বলছেন, আমরা কি আঙ্গুল চুষবো নাকি? প্রতিরাতে তিনি যেটা চুষেন, সেটাই চুষেন। আমরা গণতন্ত্রের কথা বলছি। আমরা গণতন্ত্র চাই।'

নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আজকে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে জনগণের বারোটা বাজিয়েছে। আপনাদের (সরকারের) বারোটা তো অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোট দিয়ে অতীতেও আপনারা নির্বাচিত হতে পারেননি ভবিষ্যতেও পারবেন না। অতীতের মতো ফ্যাসিবাদী পুলিশ দিয়ে রাতের বেলা ভোট ছিনতাই করে আর অতীতের মতো ক্ষমতায় থাকার সুযোগ আপনাদের নেই।' 

তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়লো বিদ্যুতের দাম বাড়লো, নিত্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিসের দাম বাড়লো। জিনিসের দাম বাড়লে শুধু ক্ষমতা দিয়ে সংসার চলে না। প্রধানমন্ত্রী নাকি স্বপ্নে দেখেছেন যেদিন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে তারপর দিন নাকি তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। অর্থাৎ বিছানায় যদি তাকিয়ে দেখে বিছানায় একটি বাঘ দাঁড়িয়ে আছে, সামনে বিরাট একটা গর্ত, ডানে গেলে রাস্তাটা আরো খারাপ, অর্থাৎ যেদিকেই তাকায় সেদিকেই যাওয়ার পথ দেখে না।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েলের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি গালাম সারোয়ার, আনু মোহাম্মাদ শামীম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরেজ জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী,দফতর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ সাধারণ সম্পাদক সর্দার নুরুজ্জামান, সৈয়দ শহিদুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান প্রমুখ। এছাড়াও কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom