স্ত্রী-সন্তান রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর থানায় অভিযোগ
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কৃর্তিনগর গ্রামের আলমের ছেলে আসিফ (২০)।
প্রথম নিউজ, হাসানুল কবির নাজির কুষ্টিয়া: যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া, স্ত্রী-সন্তান রেখে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ব্যতীত দ্বিতীয় বিয়ে এবং কোর্টে এভিডেভিডের মাধ্যমে অপ্রাপ্তবয়স্ক তরুণীকে বিয়ে করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।এবিষয়ে ভুক্তভোগী স্ত্রী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কৃর্তিনগর গ্রামের আলমের ছেলে আসিফ (২০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুই বছর পূর্বে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কৃর্তিনগর গ্রামের আলমের ছেলে আসিফ (২০) শিবপুর গ্রামের হারুন অর রশিদের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে ছোঁয়া (১৭) কে কোর্টে এভিডেভিডের মাধ্যমে বিয়ে করেন।বিয়ের পর থেকেই আসিফ, আসিফের বাবা আলম ও মা পলি খাতুন মিলে ছোঁয়াকে নানাভাবে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। এছাড়াও প্রায়ই তাঁর বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করতো।চাপের মুখে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ছোঁয়ার বাবা অতিকষ্টে আসিফকে ইজিবাইক কেনার জন্য ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা দেয়।কিন্তু সুখ তো দূরের কথা আসিফের ঘরে সামান্য ঠাঁই মেলেনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছোঁয়ার। অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থাতেই স্বামী ও শশুর - শাশুড়ী মিলে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।এমতাবস্থায় ছোঁয়া তাঁর বাবার বাড়িতে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করতে থাকে। দেড় মাস আগে ছোঁয়ার কোল জুড়ে একটি পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে।কিন্তু ফুলের মতো ফুটফুটে নিষ্পাপ এই সন্তানের মুখ না দেখেই বিয়ে লোভী নিষ্ঠুর পিতা বেছে নিয়েছেন দ্বিতীয় বিয়ের পথ।সে ১৫ দিন আগে একই উপজেলার শিবপুর গ্রামের ঝন্টু শেখের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জুঁই (১৭) কে কোর্টে এভিডেভিডের মাধ্যমে বিয়ে করেছেন। এক্ষেত্রে সে তার প্রথম স্ত্রী ছোঁয়ার কোন অনুমতি নেয়নি বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত আসিফের বাড়িতে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে কথা বলতে কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আননূর যায়েদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।