রাশিয়ার সেনা হতাহতের আনুমানিক ধারণা দিল যুক্তরাষ্ট্র

নতুন গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে দেশটি জানিয়েছে, গত পাঁচ মাসে অন্তত ২০ হাজার রাশিয়ান নিহত হয়েছেন।

রাশিয়ার সেনা হতাহতের আনুমানিক ধারণা দিল যুক্তরাষ্ট্র

প্রথম নিউজ, ডেস্ক: প্রথম থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সেনা হতাহতের সংখ্যার আনুমানিক ধারণা প্রকাশ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার নতুন গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে দেশটি জানিয়েছে, গত পাঁচ মাসে অন্তত ২০ হাজার রাশিয়ান নিহত হয়েছেন। এই সময়ে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৮০ হাজার জন। বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি এই সংখ্যা ঘোষণা করেছেন। যদিও নিহতদের মধ্যে অর্ধেকেই রাশিয়ার প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানি (পিএমসি) ওয়াগনারের সদস্য। ওয়াগনার মূলত বাখমুতসহ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে যুদ্ধ করছে। ডনবাস অঞ্চলের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শহরের একটি এই বাখমুত। যার ৯৫ শতাংশ এলাকাই এখন রাশিয়ার দখলে। এর আগে ওয়াগনার সোলেদার নামে আরেকটি খনিসমৃদ্ধ শহর দখলে নেতৃত্ব দিয়েছিল। যদিও এসব যুদ্ধে দুই পক্ষেরই ব্যাপক হতাহত হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ইউক্রেনীয় সেনারা এখনো শহরটির পশ্চিমাঞ্চলে ছোট একটি অংশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুই পক্ষের জন্যই এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ একটি প্রতীকীভাবে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন যে, তারা এই যুদ্ধকে ব্যবহার করে যত বেশি সম্ভব রুশ সেনা হত্যা এবং তাদের মজুদ কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। অপরদিকে রাশিয়াও বাখমুতকে ইউক্রেনীয়দের জন্য ‘মিট গ্রাইন্ডার’ বলে বর্ণনা করছে।

জন কিরবি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, রাশিয়া কোনো বাস্তবিক কৌশলগত এবং উল্লেখযোগ্য অঞ্চল দখল করতে পারেনি। আমরা অনুমান করি যে, রাশিয়ার এক লাখের বেশি সেনা হতাহতের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার জনেরও বেশি যুদ্ধে নিহত হয়েছে। তিনি আরো বলেন যে, তিনি এখানে ইউক্রেনের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দিচ্ছেন না কারণ ‘তারা এখানে ক্ষতিগ্রস্ত আর রাশিয়া আক্রমণকারী’। বিবিসি স্বাধীনভাবে এই পরিসংখ্যান যাচাই করতে পারেনি এবং এ নিয়ে মস্কো কোন মন্তব্য করেনি।

বাখমুত শহর দখল করে নেয়ায় রাশিয়া এখন পুরো দনেতস্ক অঞ্চল নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে গেলো। দোনেৎস্ক হচ্ছে পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের মধ্যে একটি, যেটি গত সেপ্টেম্বরে এক গণভোটের পর রাশিয়ার অধিভুক্ত করা হয়েছিল। তবে একে ভুয়া উল্লেখ করে রাশিয়ার ব্যাপক নিন্দা জানানো হয়েছিল।