ফ্রান্সে মে দিবসে বিক্ষোভকারীদের হামলায় শতাধিক পুলিশ আহত
প্রথম নিউজ, ডেস্ক: ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের বিতর্কিত পেনশন সংস্কার নিয়ে ক্ষুব্ধ গোটা ফ্রান্স। দেশব্যাপী আন্দোলন-বিক্ষোভ যেনো আর থামছেই না। এরইমধ্যে মে দিবস উপলক্ষ্যে আরও উত্তাল হয়ে ওঠে ফ্রান্সের প্রধান শহরগুলো। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন বলেছেন, পেনশন সংস্কারের দাবিতে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীদের সাথে ফ্রান্স জুড়ে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০৮ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এত সংখ্যক পুলিশ আহতের ঘটনা খুবই বিরল।
বিবিসি জানিয়েছে, পুলিশের ওপর এমন আক্রমণের সময় ২৯১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্যারিসে, পেট্রোল বোমার আঘাতে একজন পুলিশ অফিসারের হাত এবং মুখ গুরুতরভাবে পুড়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে মে দিবসের বিক্ষোভে লাখ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছিল। বেশিরভাগই শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করলেও কিছু উগ্রপন্থী দল পেট্রোল বোমা ও আতশবাজি নিক্ষেপ করেছে। যদিও পুলিশ কাঁদান গ্যাস ও জলকামান দিয়ে এর পাল্টা জবাব দেয়। তবে কতজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্যারিস ছাড়াও লিয়নস, টুলুস এবং নান্টেসেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
সেখানে যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছিল এবং দোকানপাটে হামলা করা হয়েছিল। এমনও খবর পাওয়া গেছে যে বিক্ষোভকারীরা দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মার্সেইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেল দখল করেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিক্ষোভে ৭ লক্ষ ৮২ হাজার জন অংশ নেয়। যার মধ্যে ১ লক্ষ ১২ হাজার জন ছিল রাজধানী প্যারিসে। যদিও সিজিটি ইউনিয়ন বলছে যে সংখ্যাটি এর তিনগুণ হবে।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিসাবেথ বোর্ন টুইটে বলেন, সহিংসতা খুবই অগ্রহণযোগ্য ছিল। অনেক শহরে বিক্ষোভকারীদের দায়িত্বপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ এর প্রশংসাও করেছেন তিনি। অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর বিরুদ্ধে বেশকিছু দিন ধরেই বিক্ষোভ করে আসছে দেশটির জনগণ। এমনটি করতে পার্লামেন্টকে এড়িয়ে নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন ম্যাক্রন। তা নিয়ে আরও ক্ষুব্ধ ফ্রান্সের মানুষ।