রংপুরের কয়েকটি উপজেলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব

এতে লন্ডভন্ড হয়েছে বদরগঞ্জ, কাউনিয়া ও পীরগঞ্জের কয়েকটি গ্রাম। এছাড়া শিলাবৃষ্টিতে আম, ভুট্টা, গম, ধানসহ উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। 

রংপুরের কয়েকটি উপজেলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব

প্রথম নিউজ, রংপুর: রংপুরের কয়েকটি উপজেলায় তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। এতে লন্ডভন্ড হয়েছে বদরগঞ্জ, কাউনিয়া ও পীরগঞ্জের কয়েকটি গ্রাম। এছাড়া শিলাবৃষ্টিতে আম, ভুট্টা, গম, ধানসহ উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে।  ঝড়ের স্থায়িত্ব কম হলেও কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির আঘাতে ঘর-বাড়ির ক্ষতির পাশাপাশি উড়ে গেছে স্থাপনা। তবে বৃষ্টির পানির চেয়ে শিলার তোপে মাটিতে নুয়ে পড়েছে অনেক ফসল। 

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৯টার পর থেকে থেমে থেমে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি আঘাত হানে। কৃষি বিভাগ ও আবহাওয়া অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি।
 
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭ দশমিক শূন্য মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ কম হলেও ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের বেগ বেশি ছিল। কোথাও কোথাও ভারী বজ্রপাতও হয়েছে। ষোল ঘড়িয়া গ্রামের নুরু মিয়া বলেন, সারা দিন আকাশে মেঘ ছিল না। হঠাৎ রাতে যখন ঘুমানোর প্রস্তুতি চলছিল, তখন ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের খুব বেগ ছিল। আমার নিজের ঘর-বাড়িসহ আশপাশের অনেকের বাড়ি ভেঙে তছনছ হয়েছে।

বড় আলমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সেলিম বলেন, রাতে ঘূর্ণিঝড় থেমে যাওয়ার পর বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছি। প্রায় অর্ধশত বাড়ি-ঘর ভেঙে গেছে। দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে তালিকা করে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।  পীরগঞ্জ ছাড়া কাউনিয়া, বদরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ে রেললাইনের ওপর গাছ ভেঙে পড়ায় সকালে মীরবাগে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। 

বিভিন্ন এলাকার কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে আমগাছে আসা গুটি ঝরে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় আধাপাকা ও পাকা গম, ধান আর ভুট্টা মাটিতে শুয়ে পড়েছে। হাড়িভাঙ্গা আমের জন্য বিখ্যাত মিঠাপুকুরের খোড়াগাছ, পদাগঞ্জ ও বদরগঞ্জের শ্যামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় আম বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। 

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম কামরুল হাসান জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানসহ প্রত্যন্ত এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল ৫০ মিনিট। এ সময় ৭ দশমিক শূন্য মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাতের পাশাপাশি বাতাসের বেগ বেশি ছিল। আগামী দুই একদিন রংপুর অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom