রাজ্যকে নিয়ে আনন্দ-বেদনার কথা ভিডিওবন্দি করলেন পরীমণি
প্রথম নিউজ, বিনোদন প্রতিবেদক: চিত্রনায়িকা পরীমণির ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যর জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে ১০ আগস্ট। এ অনুষ্ঠানের আগে থেকেই রাজ্যর জন্মদিন পালন নিয়ে আলোচনায় আসেন পরীমণি। জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালনের পর অনুষ্ঠানের খরচ নিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন তিনি।
রাজ্যর জন্মদিন অনুষ্ঠান পালনের পরদিন অর্থাৎ ১১ আগস্ট রাতে পরীমণি একটি ভিডিও তার ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন। ভিডিও প্রকাশ করে তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘একটা খোলা চিঠি’।
৪ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে পরীমণি রাজ্যকে নিয়ে তার ভালোসাবা, আবেগ, অনুভূতি, ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। পরীমণির প্রকাশিত এ ভিডিওটি তার ভক্ত অনুরাগীদের মন ছুঁয়েছে। পরী এ ভিডিওতে রাজ্যকে নিয়ে আনন্দ-হাসি, সুখ-বেদনার কথা প্রকাশ করেছেন। রাজধানীর পাঁচ তারকা তারকা হোটেলে জমকালো আয়োজন রাজ্যর জন্মদিন পালন করা হয়।
প্রকাশিত ভিডিওতে পরীমণির কণ্ঠে শোনা যায়, আমার বাজান, বড় হয়ে যখন তুমি এটা দেখবে, তখন বুঝবে, গলায় আটকে থাকা কান্না গিলে গিলে মা তোমাকে বলেছিল, এই সেই আনন্দের দিন, যেদিন তুমি আমার বুকে এলে। ছোট্ট দুটো হাত ধরে কী মনে হচ্ছিল জানো? পরী সত্যিকারের দুটো ডানা পেল। কী আনন্দ কী আনন্দ! বড় হয়ে লাল পরী, নীল পরী, হাজার পরীর ভিড়ে শুধু জানবে, তুমি এই মা পরীর দুটো ডানা হয়ে জন্মেছিলে। আমি তোমার বুকে কান পেতে শুনি—মা; গায়ে গা ঘেঁষে, বুকে মিশে থেকে, ঘুমের ঘোরে কিংবা জেগে থেকে, তোমার চোখের দৃষ্টিজুড়ে যেন শুধু আমি; মা আর মা। তোমার জগৎজুড়ে যেন একটাই শব্দ—মা। আর এই মা–টা আমি! আহা!
ছেলেক নিয়ে পরীমণি অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ভাবতে ভাবতে কখন যে আমাদের এক বছর হয়ে গেল। তোমার গায়ের ঘ্রাণে বেঁচে আছি আমি। তোমার কান্নায়, হাসিতে, খেলায় কী দারুণ বেঁচে আছি আমি। দুঃখ আমাকে আর ছুঁতেই পারে না। তোমার সঙ্গে রূপকথার রাজ্যের পৃথিবী আমার। টগবগ করে রাঙা ঘোড়ায় চড়ে আমার পালকির পাশে পাশে চলবে।
পরীমণি আরও বলেন, পথে পথে যত দস্যুই আসুক, তুমি বলবে, আমি আছি, ভয় নেই, মা। আমার সত্যিকারের বীরপুরুষ হবে তুমি। আমার সকল শূন্যতার পাশে তুমি এক হয়ে জুড়ে গেছো। তাই তো আমাদের এই সংখ্যা ১০। মনে রেখো, এই তারিখটা কিন্তু তোমার। এই দিনটা তোমার বিশেষ দিন। এই আজ যেমন আমি, আমরা সবাই মিলে ধুমধাম করে তোমার জন্মদিনটা উদ্যাপন করছি, তুমিও কিন্তু কোরো। মা যখন থাকবে না বেঁচে, তখনো করবে। ঠিক আছে?
পুত্র রাজ্যকে নিয়ে পরীমণি আরও বলেন, শত পুণ্যে আমি তোমায় পেয়েছি। এই দেখো, আমরা তোমার প্রথম মাসের ১০ তারিখটা সেলিব্রেট করছি। কত ছোট্ট তুমি! শুধু একটু কান্না করতে পারো তখন। এরপর দুই মাস, তিন মাস, চার, পাঁচ, ছয়, দেখো কেমন মাস চলে যায়। কাছের মানুষও ছেড়ে চলে যায়। সম্পর্কও কেমন বদলে যায়। শুধু বদলে যায়নি তোমার এই সুন্দর বিশেষ দিনে আয়োজন করে ঘর সাজানো, কেক কাটা। এই যে তোমার মা আছে তো। আনন্দের কমতি কী করে হয়।
রাজ্যকে উদ্দেশ্য করে পরীমণি আরও বলেন, শোনো পদ্মফুল, এই দিনে তুমি কখনো মন খারাপ করবে না। এই দিন তোমার জন্য অনেক আনন্দের দিন, খুশির দিন। ঠিক আজকের মতোই তুমি এই দিনটাকে তোমার ভালোবাসার সবাইকে নিয়ে হইহুল্লোড়ে ভরিয়ে রেখো। কেমন? আমার পুণ্য। তুমিই আমার পুণ্য। তুমি এই পৃথিবীর জন্য আলোর বাহক হও। মা তোমাকে অনেক ভালোবাসে। হ্যাপি বার্থডে, বাবা।