রাজনৈতিক বিতর্কে পুলিশকে না জাড়ানোর আহ্বান গয়েশ্বরের
জনতার অধিকার পার্টির (পিআরপি) উদ্যোগে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সোজা কথা— আমরা সমাবেশ করব। যেখানে (নয়াপল্টনে) বসার কথা সেখানে আমরা না বসলে সারা ঢাকার অলি-গলিতে ছড়িয়ে পড়বে, যার যা আছে তাই নিয়ে। দেখবেন প্রত্যেক মানুষ ঘরের দরজা খুলে দিয়ে রাস্তায় নেমে আসবে। এখন টের পাচ্ছে না তখন টের পাবে!
বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদে জনতার অধিকার পার্টির (পিআরপি) উদ্যোগে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা প্রত্যেকটা কর্মসূচি গণতান্ত্রিকভাবে করছি, গণতান্ত্রিকভাবেই করব। আর পুলিশ প্রশাসনের লোক কিছু বাড়তি বাড়তি কথাবার্তা বলেন। পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলব— রাজনৈতিক বিতর্ক রাজনীতিবিদদের মধ্যে থাকতে দিন। রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে আপনারা জড়াবেন না। দয়া করে জড়াবেন না। সুতরাং আমরা কোথায় সমাবেশ করব, করতে পারব না— আপনারা রাজনৈতিক বিবেচনায় যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেন, সেই সিদ্ধান্ত আমরা যে মানতে বাধ্য, তা তো না। আমি কোথায় মিটিং করব এবং কোথায় করতে পারব না, সেটা পুলিশের অনুমতি নিয়ে করতে হবে—সংবিধানের কোথায় আছে?
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি সকল রাজনৈতিক দল সমাবেশ করার সময় স্থানীয় থানায় ইনফরমেশন দেয়। তাদের দায়িত্ব আছে জননিরাপত্তা এবং যারা মিটিং করে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া।
পিআরপির চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।