যশোর জেলা ছাত্রলীগের ১১ নেতাকে শোকজ
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রথম নিউজ, যশোর: যশোর জেলা ছাত্রলীগের বিশেষ প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত না থাকায় ১১ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া ১১ নেতা হলেন- জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন রনি হাওলাদার, কায়েস আহমেদ রিমু, আব্দুর রউফ পিন্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিফাতুজ্জামান রিফাত, আসাদুজ্জামান আসাদ, আশিকুর রহমান হৃদয়, মাসুদ হাসান কৌশিক, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, রাকিবুল আলম ও ফাহমিদ হুদা বিজয়।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে ছাত্রলীগ আগামী ১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ছাত্র সমাবেশ করবে। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে যশোর শহরের গাড়িখানাস্থ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে। এতে জেলার আট উপজেলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কলেজের ২৮টি ইউনিটের মধ্যে বেশির ভাগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরমধ্যে উপস্থিত ছিলেন না জেলা ছাত্রলীগের ১১ জন পদধারী নেতা। ফলে সেই ১১ জনকে নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
শোকজ পাওয়া ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, ২০২১ সালের ৫ জুলাই থেকে জেলার সভাপতি পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক পল্লব দায়িত্ব পালনকালে পদে পদে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কমিটি গঠন থেকে শুরু করে সংগঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সব প্রক্রিয়ায় কমিটিকে যুক্ত করার পরিবর্তে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন দুজন মিলে। সংগঠন পরিচালনায় তাদের স্বেচ্ছাচারিতায় কমিটিকে একসঙ্গে করতে পারেনি এ সভাপতি-সম্পাদক।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন জানান, বর্ধিত সভার কোনো চিঠি পাননি। জেলার সভাপতি সম্পাদক সাংগঠনিক কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সমন্বয় নেই। তাদের দুজনের সিদ্ধান্তেই কমিটি দেয় আবার তুলেও নেয়। সভাপতি সম্পাদক স্বেচ্ছাচারিতায় সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রম নেই। এ দুজন যে কয়েকটা কমিটি দিয়েছে সাংগঠনিক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেনি। তারা কোন সাংগঠনিক কাজে কাউকে ডাকে না।
তিনি বলেন, শোকজ করেছে, শোকজের জবাব দিবো কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। জেলার সভাপতি সম্পাদক কাছে দিবো না। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান হৃদয় বলেন, প্রেস রিলিস ফেজবুকে ঘুরছে। ওটা দেখেছি। জেলা ছাত্রলীগ তো প্রেস রিলিস নির্ভর। ওনারা তো কমিটির অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন না। সভাপতি-সম্পাদক দুজনে আলোচনা করে কমিটি দেওয়া থেকে শুরু করে যা কার্যক্রম করে সেটা রাতের আঁধারে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে করে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লবের মুঠোফোনে কয়েক দফায় ফোন দিলেও তারা দুজনেই ফোন রিসিভ করেননি। ফলে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত তরুণ বলেন, বিশেষ প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত না থাকায় ১১ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। তাদের সবাইকে লিখিত আকারে সভাপতি-সম্পাদকের কাছে সশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।