যুবলীগ নেতাকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর পোস্ট

যুবলীগ নেতাকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর পোস্ট

প্রথম নিউজ, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা যুবলীগের সদস্য মিরাজ হোসেন শান্তকে বিষোদগার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট করেছেন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের এক নেতা।  অভিযুক্ত শাহীন মাহমুদ উপজেলার পাটোয়ারীহাট ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড  ছাত্রলীগের সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলাপাড় চলছে। 

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর ওই কমিটিতে রাজাকারের সন্তান, বরিশালের এক ব্যবসায়ী, প্রবাসী, সরকারি চাকরীজীবী, সুদখোর ও জামায়াত-শিবিরকে পদায়ন করার অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ নেতা নাসির মাহমুদ বিএসসির ফেসবুকের একটি পোস্টে কমেন্টস করেন যুবলীগ নেতা শান্ত। 

এর প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের আদর্শবিরোধী ও কুলাঙ্গার উল্লেখ করে নিজের ফেসবুক আইডিতে পাল্টা পোস্ট করেন ছাত্রলীগ নেতা শাহীন মাহমুদ। এতে উপজেলার সর্বশ্রেণির মানুষের মাঝে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের ওয়ার্ড সভাপতি শাহীন মাহমুদ জানান, যুবলীগ নেতা শান্ত আওয়ামী লীগের কমিটিকে নিয়ে খুবই অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে তার মন্তব্যের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এমনটি পোস্ট করেছেন বলে জানান তিনি। 

উপজেলা যুবলীগের সদস্য মিরাজ হোসেন শান্ত জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে আমার নাম বাদ দিয়ে ফ্লুইড দিয়ে মুছে সেখানে রাজাকারের সন্তানকে পদায়ন করাসহ বিতর্কিত অনেককে কমিটিতে স্থান দেওয়ায় ফেসবুক লাইভে এসে প্রতিবাদ ও কমেন্টস করেছি। যে কারণে ছাত্রলীগের এক ওয়ার্ড কর্মী আমার সম্মানহানি করে ফেসবুকে মানহানিকর মন্তব্য করেছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা করবেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নুরউদ্দিন চৌধুরী রুবেল জানান, শাহীন মাহমুদ যে অপরাধ করেছে, তার দায় সংগঠন কখনো নেবে না। যুবলীগ নেতা মিরাজ হোসেন শান্তকে নিয়ে সে যে পোস্ট দিয়েছে, এ বিষয়ে তার থেকে জবাব চাওয়া হবে। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।

কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, দুপক্ষই আওয়ামী লীগের লোক। দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ফেসবুকে মানহানিকর কোনো মন্তব্য করা ঠিক না। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সম্পাদকসহ দুপক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টির সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।