মৌসুমি জ্বরের ক্লান্তি কাটাতে নজর দেন খাবারে

অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে ডেঙ্গু বা করোনা টেস্ট করলেও দেখা যাচ্ছে কোনোটাই নয়, তবু জ্বর থাকছে শরীরে। একই সঙ্গে প্রচণ্ড দুর্বলতা থাকছে।

মৌসুমি জ্বরের ক্লান্তি কাটাতে নজর দেন খাবারে

প্রথম নিউজ ঢাকা: বর্ষা চলে গেছে। শরৎও যাওয়ার পথে। তবু গরম কমেনি। এখনো গ্রীষ্মকালের মতোই গরম পড়ছে। প্রকৃতির এমন উল্টোপাল্টা আচরণের প্রভাব পড়ছে মানব শরীরেও। এখন প্রায় ঘরেই জ্বরের রোগী আছে। এমনও পরিবার রয়েছে যেখানে একই সঙ্গে কয়েকজন জ্বরে আক্রান্ত। অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে ডেঙ্গু বা করোনা টেস্ট করলেও দেখা যাচ্ছে কোনোটাই নয়, তবু জ্বর থাকছে শরীরে। একই সঙ্গে প্রচণ্ড দুর্বলতা থাকছে।

চিকিৎসকরা বলছেন বাইরের প্রচণ্ড তাপমাত্রা থেকে এসির ঠান্ডা মধ্যে ঢোকা এর অন্যতম একটি কারণ। একারণে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখ এসির তাপমাত্রা নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়াও শরীর যতটা সম্ভব আর্দ্র রাখার চেষ্টা করতে হবে। বাইরে বেরোলেও সঙ্গে পানির বোতল রাখতে হবে। যথাসম্ভব ছায়া আছে এমন কোনো জায়গায় থাকার চেষ্টা করতে হবে। এসব জ্বর সহজে সারছেও না। বেশ কিছুদিন কাবু করে রাখছে। তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে তাই কিছু নিয়ম মানতে হবে।

* এই জ্বরের ক্লান্তি ও দুর্বল কাটাতে নিয়মিত লেবুপানি খেতে হবে। রোজ অন্তত এক গ্লাস করে লেবুর শরবত খাওয়া দরকার। পারলে তার মধ্যে অল্প গোলমরিচ গুঁড়ো মেশান।

* খাবারের মশলার পরিমাণ কমিয়ে দিন। এ ছাড়া দুপুরের খাবারে ডাল আর গরম ভাত বা রুটি খান। সামান্য ঘিও খেতে পারেন এর সঙ্গে। এতে দ্রুত কমবে ক্লান্তি।

* রোজ দিনের শুরুতে বা জলখাবারের পরে একটি করে কলা খেতে হবে। এতে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় থাকবে।

* নিয়মিত শরীরচর্চা অপরিহার্য। তবে এ সময় শরীরচর্চার মাত্রা একটু কমাতে হবে। সাধারণ অবস্থায় যতটা শরীরচর্চা করেন, এখন তার অর্ধেক করুন।

* যতটা বেশি সম্ভব ঘুমান প্রয়োজন। এতে শরীর তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে। পুরোনো শক্তি তাড়াতাড়ি ফিরে পাবেন।

 * এই সময় গ্রিন টিও পান করতে পারেন। সেই সঙ্গে স্যুপ জাতীয় খাবার ও প্রোটিন বেশি করে খান। ঘুমোনোর সময় হলুদ, কালো মরিচ মিশিয়ে দুধ পান করুন।

* শিশুদের জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, প্যারাসিটামল ও কাশি হলে সঙ্গে কাশির সিরাপ খাওয়াতে হবে। এই সময় শিশুদের নিয়মিত গোসল করিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

* জ্বরের সঙ্গে ভাইরাস যদি পেটেও আক্রমণ করে, সে ক্ষেত্রে শিশুকে প্রচুর ফ্লুইড খাওয়াতে হবে। এ সময় ডাবের পানি খাওয়ানো বেশ উপকারী। একদম ছোট শিশুদের এই সময় বুকের দুধ খাওয়ানো একেবারেই বন্ধ করা উচিত নয়।

* এই সময় সর্দি, কাশি বা জ্বর হয়েছে এমন কারো সামনে শিশুকে পাঠাবেন না। শিশুর যদি সর্দি, কাশি বা জ্বর থাকে তাকে স্কুলে না পাঠানোই ভালো। এ ছাড়া বাইরে থেকে ফিরে শিশুদের হাত, পা, মুখ ভালো করে ধোওয়া উচিত। বাইরে থেকে বা স্কুল থেকে ফেরার পর শিশুকে ভালোভাবে গোসল করান। বাইরের পানি বা কাটা ফল খাওয়া ঠিক নয়। ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য শিশুদের সব ভ্যাকসিন দিয়ে রাখাও দরকার।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom