মালদ্বীপে 'ইন্ডিয়া আউট' নীতি? ভারতীয় সেনা অপসারণের পর দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও বাতিল

মালদ্বীপে 'ইন্ডিয়া আউট' নীতি? ভারতীয় সেনা অপসারণের পর দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও বাতিল

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা অপসারণের বিষয়ে মোদি সরকারকে অনুরোধ জানানোর পর এবার ভারতের সঙ্গে চার বছর আগের একটি চুক্তি বাতিল করতে চলেছে দেশটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছেঃ প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এবার বাতিল করা হয়েছে ভারতের সঙ্গে চার বছর আগের পুরনো একটি চুক্তি। এর অধীনে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, পরিবেশ সুরক্ষা, উপকূলীয় ব্যবস্থাপনা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা উন্নত করতে সাহায্য করার জন্য মালদ্বীপে হাইড্রোগ্রাফিক সমীক্ষা চালানোর অনুমতি মিলতো ভারতীয় নৌবাহিনীর।

প্রতিবেদনে বলা হয়ঃ মালদ্বীপ ভারতকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করতে বলেছে মাত্র এক মাস আগেই। প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু নির্বাচনী প্রচারণার সময়ই ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচার করেছিলেন। এখন ভারতীয় নৌসেনা এবং মালদ্বীপের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে স্বাক্ষরিত ২০১৯ চুক্তি ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মইজ্জু। বৃহস্পতিবার তিনি  চুক্তি থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা ভারতকে জানান।

দ্য ওয়াল এর প্রতিবেদনে বলা হয়ঃ মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শর্ত মেনে ছয় মাস আগেই ভারতকে চুক্তি বাতিলের কথা জানানো হয়েছে। নয়া দিল্লির কর্তারা মনে করছেন, মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপগুলোর পেছনে চীনের মদত আছে। মুইজ্জু তার 'ইন্ডিয়া আউট' নীতির দ্বিতীয় পদক্ষেপ ঘোষণা করায় দ্বীপরাষ্ট্রটির মতিগতি নিয়ে চিন্তিত নয়া দিল্লি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানাচ্ছেঃ ২০১৯ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মালদ্বীপ সফরের সময় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তির আওতায় এ পর্যন্ত ভারতীয় নৌবাহিনী ৩ টি সমীক্ষা চালিয়েছিল। চুক্তির আওতায় ভারতীয় নৌবাহিনী অনেক ধরনের অধিকার পেয়েছিল। ভারতের সঙ্গে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন ইব্রাহিম সলিহ, যিনি মুইজ্জুর আগে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। মুইজ্জু আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সাথে করা চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করবেন। ভারতের সঙ্গে চুক্তিটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত মুইজ্জুর অধীনে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র নীতিতে চীনের আধিপত্যকে আরও বাড়িয়ে দেবে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।