মণ্ডলবাজার-চর ডাকাতিয়া সেতুর সংযোগ সড়ক নেই, ১২ বছর ধরে ভোগান্তি

দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মণ্ডলপাড়া, পশ্চিম কাজলাপাড়া, চর ডাকাতিয়াসহ পাঁচ গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ।

মণ্ডলবাজার-চর ডাকাতিয়া সেতুর সংযোগ সড়ক নেই, ১২ বছর ধরে ভোগান্তি
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ,জামালপুর: এক যুগেও সংস্কার হয়নি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের মণ্ডলবাজার-চর ডাকাতিয়া সেতুর সংযোগ সড়ক। নির্মাণের এক বছর পরই বন্যায় ভেঙে যায় সেতুটির সংযোগ সড়ক। ফলে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মণ্ডলপাড়া, পশ্চিম কাজলাপাড়া, চর ডাকাতিয়াসহ পাঁচ গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা জানায়, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যমুনার তীরবর্তী এলাকার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা সুগম করতে ২৪ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হয় স্থানীয়দের। পাল্টে যায় জীবন-জীবিকার মান। তবে নির্মাণের পর থেকে প্রতি বছরের বন্যায় একটু একটু করে ভেঙে যায় সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগব্যবস্থা। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মোতালেব, শামীম, শহিতন, উমর ফারুক, হাসমত আলী জানান, সেতুটি হওয়ার পর অনেক সুবিধা হয়েছিলো। কিন্তু সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যানবাহনের অভাবে রোগীসহ সাধারণ মানুষ যেমন যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অপরদিকে চরের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা। শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে নৌকাই একমাত্র ভরসা।

ক্ষোভ প্রকাশ করেন খোদ চিকাজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সেতুটির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই জনগণের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি বারবার কর্তৃপক্ষের নজরে আনার চেষ্টা করেও কোনো কাজে আসেনি।

এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান হোসেন বলেন, বন্যাকবলিত এলাকা হওয়ায় প্রতি বছরের বন্যায় ব্রিজটির সংযোগ সড়ক একটু একটু করে ভেঙে যায়। ইতোমধ্যে সেতুটি পরিত্যক্ত দেখিয়ে বড় সেতুর প্রস্তাবের কথা বলা হয়েছে। তবে এটি গৃহীত হয়েছে কী-না জানি না।

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সায়েদুজ্জামান সাদেক বলেন, ভেঙে যাওয়া সড়ক এবং সেতুটি এলজিইডির আওতাভুক্ত নয়। এটি জেলা পরিষদ করেছে। তাই এ সংক্রান্ত কোনে ধরনের ডাটা আমাদের কাছে নাই। তবে এলাকাটি আমি ইতোমধ্যে পরিদর্শন করেছি। পরিদর্শন করে দেখেছি সেতুর আগে রাস্তাটি সংস্কার জরুরি।

তবে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত) মো. আমজাদ হোসেন বলেন, এ ধরনের ব্রিজ আমাদের জেলা পরিষদ থেকে করা হয়নি।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom