ভরা মৌসুমেও দেখা নেই রুপালি ইলিশের

ভরা মৌসুমেও ভোলার নদীগুলোতে ইলিশের দেখা মিলছে না

ভরা মৌসুমেও দেখা নেই রুপালি ইলিশের

প্রথম নিউজ,  ভোলা : ভরা মৌসুমেও ভোলার নদীগুলোতে ইলিশের দেখা মিলছে না। দিনের পর দিন নদীতে জেলেরা জাল ফেলেও ফিরছেন খালি হাতে। নদীতে মাছ ধরা না পড়ায় অর্থকষ্টে দিন কাটছে জেলেদের। নদীতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, পানিদূষণ ও ইলিশের অভয়াশ্রমের প্রবেশপথ ভরাট হয়ে যাওয়াই এর মূল কারণ বলে দাবি মৎস্য গবেষকদের। তবে শিগগিরই নদীতে জেলেদের জালে প্রচুর পরিমাণ মাছ ধরা পড়বে বলে প্রত্যাশা করেন জেলা মৎস্য বিভাগ। বুধবার (১০ মে) সকালে নদীর পাড়ে জেলেদের ও মৎস্য কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নদীতীরের গ্রামগুলোর মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস মাছ শিকার। দীর্ঘদিন ধরে দেখা নেই বৃষ্টির। তাই নদীতে বেড়েছে লবণাক্ততা। এ ছাড়া নদীগুলোতে অবাধে বর্জ্য ফেলায় আগের তুলনায় পানিদূষণ বেড়েছে দ্বিগুণ। এদিকে দেশের ইলিশের অভয়াশ্রম খ্যাত মেঘনা ও তেঁতুলিয়া, নদীর প্রবেশপথ আগের তুলনায় অনেকটা ভরাট হয়ে গেছে। তাই সমুদ্র থেকে ইলিশ অভয়াশ্রমে প্রবেশে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে আগের তুলনায় উপকূলের নদীতে দেখা মিলছে না ইলিশের।
নদীতে ইলিশ না মেলায় তারা এখন চরম অর্থকষ্টে পড়েছেন বলে দাবি প্রান্তিক জেলে সিরাজ,মানিক, রহিম, শাহাবুদ্দি, কামালের। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জেলার মেঘনায় - তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ ধরা না পড়ায় জেলেদের দিন কাটছে নিদারুণ কষ্টে।
মৎস্য অনুষদ বিভাগের ডঃ মোঃ লোকমান আলী বলেন, মৎস্য গবেষকদের মতে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক  প্রভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় নদীতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, পানিদূষণ, ইলিশের  প্রবেশপথে বাধাসহ নানা কারণে ইলিশের পরিভ্রমণের সময় ও স্থান পরিবর্তিত হয়েছে। এতে নদীতে জেলের জালে ধরা পড়ছেনা ইলিশ।
ভোলা মৎস্য কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন জানান, শিগগিরই নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়বে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ।
ভোলায় ৫ লাখেরও বেশি মানুষ মাছ ধরার পেশায় রয়েছে। এর মধ্যে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশী। 
,