ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সংকল্পবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক হমান
প্রথম নিউজ, অনলাইন: গণতন্ত্র, মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জনগণকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গণতন্ত্রবিরোধী ও জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ৫ই আগস্টে ছাত্র-জনতার মিলিত দুর্বার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এখন যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র, মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জনগণকে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, একদলীয় বর্বর শাসন দীর্ঘায়িত করার অলীক স্বপ্নে শুধু গণতন্ত্রই নয়-দেশের ঐক্য, সংহতি ও সার্বভৌমত্বকে তারা সংকটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করেনি। বিরোধী দলের প্রতি আচরণে তারা (আওয়ামী লীগ) কখনই সভ্য রীতিনীতি অনুসরণ করেনি। তখন কারাগারই ছিল বিরোধী দলের ঠিকানা।
তারেক রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে বহুদলীয় গণতন্ত্রের গলাটিপে হত্যা করে বহুদলীয় ব্যবস্থার স্থলে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা ‘বাকশাল’ কায়েম করে। এই ব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে তারা জাতীয় সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে এক প্রকার গায়ের জোরেই অমানবিক মধ্যযুগীয় চতুর্থ সংশোধনী আইন পাশ করে। ঐ সময় সব সংবাদপত্র বাতিল করে তাদের অনুগত চারটি পত্রিকা চালু রাখার ফরমান জারি করে। দেশবাসীর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলে অর্জিত মানুষের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে তারা ভূলুন্ঠিত করে সমাজে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যের ঘন অমানিশা ছড়িয়ে দেয়।
অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতাকে চিরকাল কুক্ষিগত করার অসৎ উদ্দেশ্যে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয়। একটি মাত্র দল বাকশাল ছাড়া অন্য সকল দল এবং সরকার অনুগত ৪টি সংবাদপত্র ব্যতিরেকে সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, সভা-সমাবেশ এবং মানুষের মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তারা বাকস্বাধীনতা ও মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করে মূলত মানবাধিকারকেই পদদলিত করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার জন্য বাকশালী সরকার চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছিল। কথা, চিন্তা, বিবেক, মত প্রকাশ, সংগঠন ও সমাবেশের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছিল হুকুমবাদের দৌরাত্ম্যে। বহুত্ত্ববাদীতা বিনষ্ট করে সামাজিক স্থিতি ও ভারসাম্য নষ্ট করা হয়েছিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি সবসময় জনগণের মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশ ও জাতির স্বার্থে পতিত অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া নানাবিধ জঞ্জাল মোকাবিলা করে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্র হত্যা দিবসে এটিই হোক আমাদের অঙ্গীকার।