ভাগনেকে খুন করে আটোরিকশা ছিনতাই করেন মামা

ভাগনেকে খুন করে আটোরিকশা ছিনতাই করেন মামা

প্রথম নিউজ, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ভাগনেকে খুন করে আটোরিকশা ছিনতাই করেন মামা। এ ঘটনার পুলিশ ঘাতক মামা মো. জাবেদকে (৩৭) গ্রেপ্তারের পর মামলার চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। নগদ টাকার প্রয়োজন হওয়ায় মামা মো. জাবেদ ও তার সহযোগী মো. রেজাউল মিলে পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম মো. নেকবর হোসেনকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার ইজিবাইকটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। 

এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. তোফাজ্জেল হোসেন (৩৭) বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরে পুলিশ জাবেদকেকে গ্রেপ্তার করলে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। 

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বাসাইল ও বালুচর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে জাবেদ ও তার সহযোগী মো. রেজাউলকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়। রেজাউল যাশোরের মনিরামপুর উপজেলার কাঁঠালতলী গ্রামের মো. আলী আকবরের ছেলে। তিনি উপজেলার গুলগুলিয়া গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাকে সেখান হতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রশি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার জাবেদ পেশায় ইজিবাইকের মিস্ত্রি ও অপর আসামি রেজাউল ইজিবাইকচালক হওয়ায় তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক ছিল।
  
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসকান্দী গ্রামের রেলওয়ে রাস্তার ৩৩৪ ও ৩৩৫নং পিলারের মাঝখানে রাস্তার উত্তর পাশে পানিতে ভাসমান অবস্থায় আটোরিকশাচালক নেকবর হোসেনের (২২) মরদেহ পাওয়া যায়। তিনি সিরাজদিখান উপজেলার চর গুলগুলিয়া গ্রামের মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে। তিনি কোরআনের হাফেজ ছিলেন। 

পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন- যে নগদ অর্থের প্রয়োজনে দুজনে মিলে পরিকল্পিতভাবে নেকবর হোসেনকে হত্যা করে তার ব্যবহৃত ইজিবাইকটি ছিনিয়ে নেন। পরে অপর আসামি মো. শাহাজালালের (২৭) কাছে ৩৫ হাজার টাকায় সেটি বিক্রি করে দেন। আসামি শাহাজালালকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যে নারায়ণগঞ্জের ডিগ্রিরচর এলাকা হতে ছিনতাইকৃত ইজিবাইকের বিচ্ছিন্ন অংশসমূহ উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজাহিদুল ইসলাম সুমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আজ দুপুরে তাদের মুন্সীগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।