বিয়ের চার মাসেই সব শেষ মেঘলার
মেঘলার ভাই নয়ন সরদারের দাবি, যৌতুক না পেয়ে হত্যা করা হয়েছে তার বোনকে।
প্রথম নিউজ,বরিশাল: বরিশালের আগৈলঝাড়ার ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্রী মেঘলা আক্তার ইতি আত্মহত্যা করেছেন বলে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রচার করলেও তা মানতে নারাজ মেঘলার ভাই।
মেঘলার ভাই নয়ন সরদারের দাবি, যৌতুক না পেয়ে হত্যা করা হয়েছে তার বোনকে। এই অভিযোগে মামলাও দায়ের করেছেন তিনি। মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত শুনানির জন্য রেখেছেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ফুল্লশ্রী গ্রামের মৃত রুহুল আমিন সরদারের মেয়ে মেঘলা আক্তার ইতির সাথে চার মাস আগে যবসেন গ্রামের জাহাঙ্গীর পাইকের ছেলে সরকারী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র শিহাব হোসেন পাইকের বিয়ে হয়। এর আগে তারা দুজনে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন। বিয়ের পরে মেঘলার শ্বশুর জাহাঙ্গীর হোসেন পাইক ও শাশুরি ময়না বেগম ছেলে শিহাবকে বিদেশ পাঠাতে মেঘলাকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে চাপ দেন। এ নিয়ে নানাভাবে নির্যাতন শুরু করেন। মেঘলা নির্যাতনের কথা বাবার পরিবারকে ফোনে জানাতো। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে মেঘলাকে মারধর করে শিহাব ও তার মা-বাবা মেঘলার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। যদিও বাইরে তারা প্রচার করেছেন মেঘলা আত্মহত্যা করেছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, শিহাবের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশের ওপর প্রভাব বিস্তার করে পুলিশের এজাহারে মেঘলা আত্মহত্যা করেছে মর্মে মামলা নেওয়া হয়েছে। সেখানে প্ররোচনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে স্বামী শিহাবকে। নয়ন সরদার বলেন, আমার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না। সে প্রেম করে বিয়ে করেছে। তাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা মেঘলার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাইনি। গিয়ে দেখি তার লাশ নিচে পড়ে রয়েছে। এটা হত্যাকাণ্ড। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
থানায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর আলম জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় স্বামী শিহাব কারাগারে রয়েছেন। পরবর্তী কার্যক্রম আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলবে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: