বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ
গত বছরের ২০ ডিসেম্বর এক চিঠিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদকে ৫ বছরের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর এক চিঠিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের (এসইএআরও) পরিচালক নির্বাচিত হন সায়মা ওয়াজেদ। সেদিন নয়াদিল্লিতে ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক কমিটির ৭৬তম অধিবেশনে এ ভোটাভুটি হয়। ওই পদের জন্য সায়মা ওয়াজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নেপালের ড. শম্ভু প্রসাদ আচার্য। সদস্য দেশগুলো ৮-২ ভোটে সায়মা ওয়াজেদকে আঞ্চলিক পরিচালক মনোনীত করে।
অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডারবিষয়ক বাংলাদেশ জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ ডব্লিউএইচওর মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলেরও সদস্য। বাংলাদেশে অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের মুখপাত্র হিসাবে উদ্ভাবনী কাজের জন্য ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে অটিজমবিষয়ক শুভেচ্ছাদূত হিসাবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
সায়মা ওয়াজেদ ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে স্নাতকোত্তর করেন। ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি পান। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। তার সেই গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার একাডেমি অব সায়েন্সেস থেকে ‘শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক উপস্থাপনা’ হিসাবে স্বীকৃতি পায়।
২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়বিক জটিলতা নিয়ে কাজ করছেন সায়মা ওয়াজেদ। ২০১১ সালে ঢাকায় অটিজমবিষয়ক প্রথম দক্ষিণ এশীয় সম্মেলন আয়োজনের মূল ভূমিকায় ছিলেন তিনি। এছাড়া ২০১৩ সাল থেকে ডব্লিউএইচওতে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসাবে কাজ করছেন। ২০১৪ সালে সংস্থাটি তাকে ডব্লিউএইচও এক্সিলেন্স পুরস্কারে ভূষিত করে। গত আগস্টে চ্যাথাম হাউজের গ্লোবাল হেলথ প্রোগ্রামের একজন সহযোগী ফেলো হিসাবে যোগ দেন সায়মা ওয়াজেদ। ২০২২ সাল থেকে তিনি সেখানে ইউনিভার্সাল হেলথ কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।