বাংলাদেশি ১৩ যুবককে আটকের কথা স্বীকার করল বিএসএফ
আজ বুধবার বিএসএফ-৪ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্টের সঙ্গে বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল হাফিজুর রহমানের আলোচনায় তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: সিলেটের জাফলং সীমান্তে অনুপ্রবেশ করায় বাংলাদেশি ১৩ যুবক আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আজ বুধবার বিএসএফ-৪ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্টের সঙ্গে বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল হাফিজুর রহমানের আলোচনায় তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তিনি জানান, ভারতের ৪ বিএসএফের কমান্ড্যান্টের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিএসএফ জানিয়েছে গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৪টায় বাংলাদেশের তামাবিল এলাকার বিপরীতে ভারতের ডাউকি এলাকার আনুমানিক ৫০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালানের অভিযোগে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের ডাউকি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশের ১৩ জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডাউকি পুলিশ স্টেশনের এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, তাদের আটকের পর ডাউকি পুলিশ স্টেশনে সোপর্দ করা হয়েছে। বর্তমানে তারা পুলিশ স্টেশনে আছেন। আটককৃতরা হলেন জৈন্তাপুর উপজেলার ফারুক ইসলামের ছেলে সাজু আহমদ (২০), গোয়াইনগাট উপজেলার বড়হাল গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে শামীম (২১), সিদ্দিক আলীর ছেলে হাবিব আহমদ (২২), জৈন্তাপুর উপজেলার মোস্তফা মিয়ার ছেলে সজিব (১৯), গুচ্চগ্রামের জামালের ছেলে মোবারক (১৯), এলালের ছেলে আরিফ (১৯), দুলতিপুর গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে ফখরুল ইসলাম (১৯), শ্রীপুর গ্রামের জামরুলের ছেলে রুবেল (২৫), গোয়াইনঘাটের শান্তিনগর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ইব্রাহিম (১৯), জৈন্তাগ্রামের বিলাল হোসাইনের ছেলে রুহুল (২০), গুচ্ছ গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে রনি (১৯), বশিরের ছেলে সোহাগ (১৯), তামাবিল গ্রামের মতিনের ছেলে নয়ন (১৯)।