চিনি যেসব কারণে ‘সাদা বিষ’
প্রথম নিউজ, অনলাইন: খুশির সংবাদে সবার আগে আসে মিষ্টি। খাবারের সবশেষ পাতেও চাই মিষ্টিজাতীয় কোনো খাবার। এটাই যেন বাঙালির রীতি। মিষ্টি ছাড়া চলেই না। এই মিষ্টি যা থেকে আসে সেই চিনি মোটেও ভালো কিছু নয়। শরীরের সর্বোচ্চ ক্ষতিটা করে। চিনি খেয়েছেন তো মরেছেন— অনেকটা এমন।
চিনি খেলে অনেক রোগের সম্ভাবনা থাকে বিধায় এটাকে ‘হোয়াইট পয়জনস’ বা সাদা বিষ বলা হয়। ভাত, চাল ও আটার মতো কার্বোহাইড্রেটগুলো চিনির মতো দ্রুত সুগার ছাড়ে না। এত ক্ষতিও করে না।
১ গ্রাম চিনি থেকে ৪ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। ৩ দশমিক ২ গ্রাম ভাত থেকেও আমরা ৪ ক্যালরি পেয়ে যাই। ১ দশমিক ১৮ গ্রাম আটা থেকেও আসে ৪ ক্যালরি। আবার ১ গ্রাম রান্নার তেল থেকে আমরা চিনির দ্বিগুণের বেশি, প্রায় ৯ ক্যালরি পেয়ে থাকি। চিনি, আটা, ভাত এসব শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট-জাতীয় খাবার। যা ক্ষতিটা বেশি করে।
অতিরিক্ত চিনি খেলে কী হয়
শরীরে ফ্যাট জমতে শুরু করে: চিনি খেলে তলপেট, চিবুক, হাত ও পায়ের পেশীসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ফ্যাট জমতে শুরু করে। ফলে শরীর খুব দ্রুত মোটা হয়ে যায়। অতিরিক্ত ফ্যাট জমে গেলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়: অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যদি দৈনিক চিনি থেকে ১৫০ ক্যালরি গ্রহণ করা হয়, তাহলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায় প্রায় ১ দশমিক ১ শতাংশ। এ ছাড়া যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের জন্য চিনি অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ফ্যাটিলিভার : লিভার আমাদের শরীরের ব্যাংক হিসেবে কাজ করে। অতিরিক্ত চিনি চর্বিতে রূপান্তরিত হয়ে লিভারে জমা হয়। এর ফলে লিভারের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়। আর লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি বাড়ে।
উচ্চ রক্তচাপ : শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়লে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বাড়ে। অতিরিক্ত চর্বি ধমনির দেয়ালের পুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়, যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সৃষ্টি করে।
ক্যানসার :চিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জটিলতা বাড়ায়। এ ছাড়া চিনি বেশি খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। কেমোথেরাপিকে কাজ করতে বাধা দেয় চিনি বা চিনিজাতীয় খাবার।