বরিশাল নদীবন্দরে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়

মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত একের পর এক লঞ্চ যাত্রীবোঝাই করে বরিশাল নদীবন্দরে নোঙর করেছে

বরিশাল নদীবন্দরে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়
বরিশাল নদীবন্দরে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়-প্রথম নিউজ

প্রথম নিউজ, বরিশাল : ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের প্রথম দিনে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত একের পর এক লঞ্চ যাত্রীবোঝাই করে বরিশাল নদীবন্দরে নোঙর করেছে। যাত্রী নামিয়ে লঞ্চগুলো ফিরে গেছে ঢাকার উদ্দেশে। উপচেপড়া ভিড় ছিল বরিশাল নদীবন্দরে। 

এদিকে ঘরমুখো যাত্রীদের সেবা নিশ্চিতে বিনামূল্যে বাস সার্ভিস চালু করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এতে করে লঞ্চঘাট থেকে নগরীর দুই বাস টার্মিনালে পৌঁছে দেওয়া হয় হাজার হাজার যাত্রীদের। মেয়রের এই উদ্যোগের  সাধুবাদ জানিয়েছেন উপকারভোগীরা।

বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভায়াসহ প্রায় ২৩টি লঞ্চ স্পেশাল সার্ভিসের প্রথম দিনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে নাড়ির টানে বাড়িফেরা মানুষদের নিয়ে।  কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি, মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরছে। এ ছাড়া আমরা প্রতিনিয়ত টহল দিচ্ছি। সব লঞ্চকে অতিরিক্ত যাত্রী বহনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া রয়েছে।

পূবালী ৭ লঞ্চে ঢাকা থেকে বরিশালে আসা যাত্রী আফসানা রুম্পা বলেন, ঈদে শত কষ্ট করে হলেও বাড়ি ফিরে অনেক খুশি। কিছু ভোগান্তি ছিল, তবে বরিশালে পা দিয়ে সব ভুলে গেছি।

এদিকে বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, ঈদের ছুটিতে রাজধানী থেকে লাখ লাখ মানুষ বরিশালে আসছে। সেসব যাত্রীর মধ্যরাতে যাতে ভোগান্তিতে না পড়তে হয়, সে জন্য সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ২০টি বাসের ব্যবস্থা করেছেন। এসব বাসে করে বরিশালের বাসটার্মিনালে যাত্রীদের পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পরে যাত্রী চাপ বাড়ায় আরও বাস বাড়ানো হয় ভোররাতে।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, বরিশালে এসে যাত্রীদের যাতে বিন্দুমাত্র ভোগান্তিতে না পড়তে হয়, সে জন্য প্রথমে ২০টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়। যাত্রীর চাপ বুঝে বাস আরও বাড়ানো হয়। পাশাপাশি মেডিকেল বুথ স্থাপন করা হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য নদীবন্দরের প্রথম গেটের সামনে রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে। কোন জায়গায় বাস, কোন জায়গায় থ্রি হুইলার এবং কোন জায়গায় ম্যাজিক গাড়ি পাওয়া যাবে তা রোডম্যাপ দেখলেই মিলবে। যাত্রীদের সহায়তার জন্য বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মীরা থাকছেন বেশ কয়েকটি পয়েন্টে। পাশাপাশি পুরো বিষয়টি ৩২ সিসি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া অ্যাম্বুলেন্স ও হুইলচেয়ার ছিল অসুস্থ রোগীদের জন্য। 

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার সেলিম মোহাম্মদ শেখ বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা ও তারা যাতে করে লঞ্চঘাট থেকে নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছাতে পারে এ জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে মেট্রো পুলিশ।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom