বিরোধী দল ছাড়াই নির্বাচন করল বাংলাদেশ: আল-জাজিরা
প্রথম নিউজ ঢাকা: বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল (বিএনপি) নির্বাচন বয়কট করেছে। দলটির নেতাকর্মীরা জানিয়েছে, ভোট সুষ্ঠু হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এ কারণে টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে নির্বাচন বয়কট করেছে দলটি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন বর্জনকারী প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
ছোট বোন (শেখ রেহানা) ও মেয়ের সঙ্গে ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে সকাল আটটায় ভোট দেওয়ার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
জনগণকে ভোট দিতে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস দেখানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি এ দেশে গণতন্ত্র যাতে অব্যাহত থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
এদিকে কারচুপি নয়, প্রকাশ্যে ডাকাতির ভোট হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, বিএনপিসহ আন্দোরণরত দলগুলোর আহ্বনে সাড়া দিয়ে জনগণ ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে এক অভূতপূর্ব রায় দিয়েছে।
রোববার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী দাবি করেন, এমনকি আওয়ামী লীগের বিবেকবান লোকও আজ ভোট দিতে যায়নি বলেও খবর পেয়েছি। ২ শতাংশের বেশি ভোটার কেন্দ্রে নিতে পারেনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে গরু-ছাগল দেখা গেছে, এবারের ভোটের দিন যুক্ত হয়েছে বানরও। প্রহসনের তামাশার ভোট, যেখানে নিজেরা নিজেরা ভোট করছে সেখানেও এই অবস্থা। আমরা কি কারণে ভোট বর্জন করেছি, তা প্রমাণিত। এখন যতই রিগিং করে ভোটের হার বাড়ানোর চেষ্টা করা হোক না কেন জনগণ আর তা বিশ্বাস করবে না।
তিনি বলেন, ভোটার কেন্দ্রে যায়নি। গতকাল রাতে অনেক ব্যালট বক্স পূর্ণ করা হয়েছে। রাত থেকেই অনেক ঘটনা জানতে পেরেছি। নৌকা মার্কায় সিল মেরেছে। যা প্রমাণ হয়েছে আজ সকালে অনেক ব্যালট পেপারের বইয়ে শুধু নৌকা মার্কায় সিল দেখা গেছে। তাহাজ্জুদের নামাজের সময় ভোট চুরি করেছে। নিজেরা নিজেরা ভোট করেও আবার এই ডাকাতির আশ্রয় নিতে হয়েছে। শাইনপুকুর দোহারে শিশু বাচ্চাদেরও ভোট দিতে দেখা গেছে। এ এক অভিনব কায়দা। সরকারের কোনো লজ্জাও নেই। কেন্দ্র ফাঁকা, অথচ বলে বেরাচ্ছে ৫০ শতাংশ ভোট পড়বে। এই ভোট কোথা থেকে আসবে। ভোটের হার বাড়িয়ে দেখানোর সব আয়োজন চলছে। জনগণ এত বোকা নয়। হুমকি-ধামকি দিয়ে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও সত্যকে আড়াল করা যাবে না। জনগণ সরকারের ধোকাবাজির চরিত্রটা দেখছে।