বিএনপির সমাবেশ: মহাসড়কে চলছে পুলিশের তল্লাশি, মাইক্রোবাস আটকানোর অভিযোগ

আজ বুধবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজারের ঢাকামুখী লেনে পুলিশের এই তল্লাশি চলছে।

বিএনপির সমাবেশ: মহাসড়কে চলছে পুলিশের তল্লাশি, মাইক্রোবাস আটকানোর অভিযোগ

প্রথম নিউজ, সাভার: রাজধানীতে বিএনপির এক দফা চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশকে ঘিরে সাভারে যাত্রীবাহী পরিবহন, যাত্রী ও সন্দেহভাজনক পথচারীদের তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। 

আজ বুধবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজারের ঢাকামুখী লেনে পুলিশের এই তল্লাশি চলছে। এতে করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দেখা দিয়েছে যানজট। সরেজমিনে আমিনবাজারে গিয়ে দেখা যায়, সাভারের বলিয়ারপুর থেকে আমিনবাজার ব্যাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ঢাকাগামী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। 

সাধারণ যাত্রীরা বলেন, দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে। ১০-১৫ মিনিট পরপর ৬-৭টি করে বিভিন্ন ধরণের যানবাহন ছেড়ে দিচ্ছে পুলিশ। যানজটে আটকে থাকার পর বাস থেকে নেমে হেঁটে রওনা করেছেন বিএনপি কর্মী মো. আউয়াল। তিনি বলেন, বিএনপির সভা-সমাবেশে নেতাদের ঢাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। আজকেও আটকে দিয়েছে।

ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, সাভারের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য ৭০টি হাইয়েচ গাড়ি ভাড়া করা হয়। এ উপলক্ষ্যে সকাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর সোসাইটি গেইটে নেতাকর্মী ও গাড়িগুলো জড়ো হতে থাকে। বেলা ১০টার দিকে ৩টি গাড়িতে সাভার মডেল থানার ওসি তদন্ত আব্দুর রাশিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অন্তত ৪০টি গাড়ি আটকে দেয়। ১৪টি গাড়ির চাবি নিয়ে গেছে। আমরা যেন সমাবেশে যোগ দিতে না পারি এ জন্য এই বাধা সৃষ্টি করছে। 

সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক তদন্ত আব্দুর রাশিদ মুঠোফোনে বলেন, আমরা কারো গাড়ি আটকাইনি। ঘটনাস্থলে আসেন কথা বলি।  সাভার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ট্রাফিক সপ্তাহ চলছে এজন্য আমরা আমিনবাজারে রয়েছি। বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে আমরা কাউকে আটক করিনি ও কারো গাড়ি আটকাচ্ছি না।

জাহাঙ্গীরনগর সোসাইটি গেইটে বিএনপি নেতা খোরশেদ আলমের ৪০টি হাইয়েচ আটকে দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি জানিনা। ওখানে অন্য কোন ঘটনা থাকতে পারে। এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান খানের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।