পশ্চিমবঙ্গ কারাগারে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, পুলিশ-জনতার সংঘর্ষ

 পশ্চিমবঙ্গ কারাগারে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, পুলিশ-জনতার সংঘর্ষ

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের নামে কারাগারের মধ্যে পিটিয়ে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৪ আগস্ট) মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্ৰাম থানার লকআপে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় গোবিন্দ ঘোষ নামের ওই দিনমজুরের।

এদিকে, এ ঘটনা কেন্দ্র করে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে থানা এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়ন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

জানা গেছে, গোবিন্দ ঘোষের (৩০) বাড়ি নবগ্রাম থানার সিঙ্গার গ্রামে। তিনি নবগ্রামের সেনা ছাউনিতে দিনমজুরের কাজ করতেন।

দিন কয়েক আগে গোবিন্দর প্রতিবেশী ও পুলিশ সদস্য প্রদীপ ঘোষের বাড়ি থেকে চুরি যায় সোনার গয়না ও কয়েক হাজার রুপি। সে ঘটনায় প্রদীপ নবগ্ৰাম থানায় সাত জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সে তালিকায় নাম ছিল গোবিন্দর।

লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোবিন্দকে থানায় ডেকে নিয়ে যায় নবগ্ৰাম থানা-পুলিশ। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হওয়ার পরও গোবিন্দকে ছাড়া হয়নি। তার পরিবারের লোকজন থানায় দেখা করতে গেলে বলা হয়, এখনো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, শেষ হলেই ছেড়ে দেওয়া হবে।

একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন গোবিন্দের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর জানতে পারে ও এ খবর শুনেই বিক্ষোভে ফেঁটে পড়ে সিঙ্গার গ্ৰামের লোকজন। গোবিন্দর পরিবারের লোকজন গ্রামাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে থানা ঘেরাও করে। বিক্ষুব্ধ জনতা থানার গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও পরে কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

গোবিন্দর পরিবারের দাবি, প্রদীপ ঘোষের বাড়িতে চুরি যাওয়ার দিন গোবিন্দ সেনা ছাউনিতে কাজ করছিলেন। গোবিন্দ ঘোষের বাবা বলেন, আমার ছেলে ক্যাম্পে কাজ করে। সেদিনও কাজ করতে গিয়েছিল। কিন্তু মারতে মারতে পুলিশ আমার ছেলেকে মেরেই ফেলেছে। আমরা দোষী পুলিশের শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সুরিন্দর সিং জানান, নবগ্রামে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছিল, তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ওই যুবকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে আসার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।