পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকারের নেওয়া নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে পুলিশ এখন প্রযুক্তিনির্ভর বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের নেওয়া নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে পুলিশ এখন প্রযুক্তিনির্ভর বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
আজ রবিবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগে পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এসময় ২০১৩-১৪ সালে বিএনপি জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পুলিশ বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে রাখবেন, জাতির পিতার দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, যা আমাদের এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, আপনাদের পূর্বসূরিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সেই স্বাধীনতাকে সব আঘাত থেকে রক্ষা করতে হবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি রাজারবাগে প্রথম পুলিশ সপ্তাহ উদযাপনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণ থেকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রাজারবাগে যারা শহীদ হয়েছিলেন, তাদের কথা মনে রাখতে হবে। তারা আপনাদেরই ভাই। তাদের রক্ত যেন বৃথা না যায়।
প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ৯৯৯ নম্বরের কারণে পুলিশ আরও বেশি মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছে। পুলিশের ওপর মানুষের আস্থা সৃষ্টি হয়েছে এবং আস্থাও বেড়েছে। যেমন নির্মমভাবে পুলিশের সদস্যদের বিএনপি মেরেছে, তা সত্যিই ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ করে তারা দেশে একটি অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। কত মানুষকে যে তারা হত্যা করেছে, তার সীমা নেই। সে সময় পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে মানুষের জীবনে শান্তি ও নিরাপত্তা এনেছে। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তারা কাজ করেছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং করোনাকালে নানা প্রতিকূলতা পাশ কাটিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গেল ১৩ বছরে পুলিশ বাহিনীর উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশকে সব সময় দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, পূর্বসূরিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করতে হবে। আমার বিশ্বাস, জনবান্ধব পুলিশিংয়ের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার পাশাপাশি গণতন্ত্র রক্ষায় পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে।
পুলিশের সেবামূলক কাজের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার সময় পুলিশ মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। যখন মানুষ আত্মীয়স্বজনের লাশ ফেলে গেছে, তখন পুলিশ তাদের দাফন করেছেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: