প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল দেশের জন্য সম্পদ: এলজিআরডি মন্ত্রী

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ এফডিসিতে নাগরিক অধিকার চিহ্নিতকরণে স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন নিয়ে ছায়া সংসদে তিনি এ কথা বলেন।

প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল দেশের জন্য সম্পদ: এলজিআরডি মন্ত্রী

প্রথম নিউজ, ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে অনেকগুলো রাজনৈতিক দল আছে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল দেশের জন্য সম্পদ।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ এফডিসিতে নাগরিক অধিকার চিহ্নিতকরণে স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন নিয়ে ছায়া সংসদে তিনি এ কথা বলেন। ছায়া সংসদটির আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। প্রতিযোগিতায় প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করে।

তাজুল ইসলাম বলেন, অনিয়মের শাস্তি এক রকমের পুরস্কার। অন্য একজনের শাস্তি দেখে বাকি সবাই সতর্ক হয়ে যায়। জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে।  তিনি বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির সব সময় আলোচিত হয়। ধরেন আমি অনেকগুলো ভালো কাজ করেছি এগুলো কেউ মনে রাখবে না। কিন্তু আমি যদি একটি অপরাধ বা দুর্নীতি করি কোনো মিডিয়ার কাছে যেতে হবে না, এমনিতেই ভাইরাল হয়ে যাবে। এজন্য আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাকে হাসতেও হয় অনেক হিসাব করে।  

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ২০ বছর আগে বিদেশে গেলে মনে হতো আমরা ফকিরের জাতি। বর্তমানে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। বাংলাদেশ একটি অফুরন্ত সম্ভাবনার দেশ। আমি মনে করি ২০৪১ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে যদি আমরা ঠিকভাবে চলি, কোনো বিশৃঙ্খলা না করি, তাহলে আমরা ৫০ হাজার ডলার মাথাপিছু আয়ের দেশ হয়ে যাবো।  

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হলো জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘সেবা ও উন্নতির দক্ষ রূপকার, উন্নয়নের উদ্ভাবনে স্থানীয় সরকার’। এ উপলক্ষে গণভবনে ৮ হাজার জনপ্রতিনিধি সমবেত হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছরে ৭৫ হাজার ৮২৫ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন এবং ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৭ মিটার নতুন ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ করেছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সমাজ কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য দায়বদ্ধতা থাকার কথা। কিন্তু স্থানীয় সরকারের কিছু কিছু জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ইটভাটা স্থাপন, পাহাড়কাটা, জোরপূর্বক ভূমি দখল, মাদক ব্যবসা, টিআর-কাবিখার অনিয়ম, টাকা নিয়ে ভাতার কার্ড দেওয়ার নানা অভিযোগ পাওয়া যায়।  

তিনি বলেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কর্তৃত্ব ও জবাবদিহিতা নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হচ্ছে। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থতার জন্য কেউ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন দায়ী করেন। কিন্তু জনগণের ভোগান্তির কোনো নিরসন হচ্ছে না। খাল-বিল, নদী-নালা দখল করে নিচ্ছে ভূমি দস্যুরা। ফলে তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা, যা সরকারকে কঠোর হয়ে দমন করতে হবে।