প্রতি সপ্তাহে বাড়ে সোনার দাম, ঈদেও গহনা বিক্রিতে ভাটা

প্রথম নিউজ, ঢাকা : মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে জমে উঠেছে রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান। পোশাক, সাজসজ্জা, জুতাসহ বিভিন্ন পণ্যের বিক্রিও ভালো। তবে জুয়েলারি ব্যবসায় কিছুটা ভাটা পড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (২১ মার্চ) সরেজমিনে মিরপুর-১ মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, মিরপুর মাজার কো-অপারেটিভ মার্কেট, হজরত শাহ আলী (রহ.) সুপার মার্কেট, মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেক্স, মিরপুর নিউমার্কেটসহ আশপাশের কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, অন্যসব দোকানে অনেক ক্রেতা সমাগম থাকলেও জুয়েলারি দোকানে অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা।
মিরপুর-১ মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে বিভিন্ন জুয়েলারির দোকান। এখানে সোনা, রুপা, হীরাসহ বিভিন্ন দামি ধাতুর জুয়েলারি পাওয়া যায়। তবে বেচাবিক্রি সেভাবে নেই। মূল্যস্ফীতি, অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে গহনার অতিরিক্ত দামের কারণে সাধারণ মানুষ আগের তুলনায় জুয়েলারি কেনা কমিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ইউরেকা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী জামান জাগো নিউজকে বলেন, এমনিতেই আমাদের ব্যবসায় ভাটা, তার ওপর প্রতিনিয়ত সোনার দাম বাড়ছে। সবমিলিয়ে আমরা কাঙ্ক্ষিত বেচাকেনা করতে পারছি না। ভেবেছিলাম ঈদে কিছুটা বিক্রি বাড়বে। তবে এখনো আশানুরূপ হয়নি।
সাথী নামের এক ক্রেতা এসেছেন কানের দুল কিনতে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, দুই আনার একজোড়া কানের দুলের দাম চাইছে ২০ হাজার টাকা। এত বেশি দাম হলে কীভাবে কিনবো বলেন?
বর্তমানে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক লাখ ৫৪ হাজার ৯৪৫ টাকা। এর সঙ্গে যোগ হয় মুজুরি। সবমিলিয়ে দেশের বাজারে সোনার এত দাম আগে কখনো হয়নি।
স্বর্ণালী জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী আলতাফ হোসেন মানিক জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি সপ্তাহে সোনার দাম এক হাজার, দুই হাজার টাকা করে বাড়ছে। সোনা বিলাসী পণ্য। মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য না কিনে কি আর গহনা কিনবে
বর্তমানে এক ভরি রুপার দাম ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা। এর সঙ্গে যোগ হবে গহনার মজুরি। অনেকেই সোনার পরিবর্তে রুপার গহনা ব্যবহার করছেন এখন। কথা হয় দেওয়ান জুয়েলার্সে ব্রেসলেট কিনতে আনা মো. কবিরের সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, দুই ভরি রুপার ব্রেসলেটের দাম চাচ্ছে মজুরিসহ ৫ হাজার টাকা। কী আর করা, শখের দাম তো লাখ টাকা!