পরিকল্পিতভাবে ইতিহাস বিকৃত করেছে বিএনপি-জামায়াত : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন
প্রথম নিউজ, ঢাকা : কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ইতিহাসের মধ্যে দিয়ে একটি জাতি বেঁচে থাকে, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে পথে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২১ বছর পরিকল্পিতভাবে এ ইতিহাসকে বিকৃত করেছে বিএনপি, জামায়াত, রাজাকার, আল বদরসহ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। তারা এখনো ইচ্ছাকৃতভাবে ইতিহাস বিস্মৃত হয়ে ও প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে চায়। দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চায়। এদের ব্যাপারে দেশে-বিদেশে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় কলকাতার রোটারি সদন অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও অগ্রগতি নিয়েও প্রচারণা চালাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এর অংশ হিসেবে কলকাতায় এ আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধ একটি মহাকাব্য, আর এর অবিসংবাদিত মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর জীবন মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস। তাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও শেখ হাসিনা এখন সমার্থক। এই উন্নয়নের গতিকে আরও বেগবান ও গতিময় করতে হবে। তবেই বিশ্বের বুকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটা উন্নত দেশে রূপান্তর হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যে কৌশল আমরা নিয়েছি, যেভাবে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি, তাতে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক প্রসঙ্গে ড. রাজ্জাক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত সহযোগিতা করেছে। জীবন বাজি রেখে আমাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করেছে, পরম আত্মত্যাগ স্বীকার করেছে। আমরা উভয় দেশই সব দিক থেকেই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। যদিও অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিক দিক থেকে ভারত একটু বড় দেশ। তারপরও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। একাধিক বিষয়ে আমাদের উভয় দেশের মধ্যে সাযুজ্য রয়েছে। দুইদেশের মধ্যে এই সুসম্পর্ক আজীবন অটুট থাকবে।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, কলকাতায় বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস ও কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর বক্তব্য রাখেন। প্রধান আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেক।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটির সভাপতি মীর এমএম শামীমের সভাপতিত্বে বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্মেলনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. রাধাকান্ত সরকার, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি সাংবাদিক আনোয়ারুল হক ভূইয়া, আন্তঃদেশীয় সমন্বয়কারী অবনী কুমার ঘোষসহ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বরেণ্য ব্যক্তিরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: