পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি মহসচিবের বৈঠক

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে আসেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার।

পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি মহসচিবের বৈঠক

প্রথম নিউজ, অনলাইন : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে আসেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার। পৌনে এক ঘন্টাব্যাপী বৈঠকে দুই দেশের দ্বি-পাক্ষিক ও দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতার নানা বিষয়দি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য শ্যামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। পরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘‘এই সাক্ষাতে দ্বি-পাক্ষিক বিষয়গুলো আলোচনা করেছি। দুই দেশের মধ্যে যে সম্ভাবনাগুলো আছে, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে সম্ভাবনাগুলো আছে তা আলোচনায় উঠে এসেছে।”
‘‘অবশ্যই দুই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রেখে, পারস্পরিক সস্পর্ক রেখে, পারস্পরিক শ্রদ্ধারোধ রেখে একে অপরের মধ্যকার সম্পর্ককে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয় যায় সে বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।” তিনি বলেন, ‘‘মূলত ব্যবসা-বাণিজ্যের ভিত্তি হচ্ছে কম্পারেটিভ এডভানটেইজের ভিত্তিতে…. সুতরাং কম্পারেটিভ এডভানটেইজের ভিত্তিতে যে অর্থনীতি বাংলাদেশের অনেকদিন অনুপস্থিত ছিলো।”
‘‘এখানে পৃষ্ঠপোষকতার একটা ব্যবসা-বাণিজ্য ছিলো, পৃষ্টপোষকতার অর্থনীতি ছিলো যার কারণে কিছু মানুষ লাভবান হয়েছে… লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিলো না। আমরা আলোচনা করেছি বাংলাদেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে যাচ্ছে এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে কম্পারেটিভ এডভানটেইজের ভিত্তিতে তাদের যেখানে এডভানটেইজ আছে সেখানে আমরা একে অপরের সাথে সহযোগিতা করব দুই দেশের মধ্যে এবং পুরো রিজিয়নের মধ্যে আমরা সহযোগিতা করব।”
‘দক্ষিন এশীয় সহযোগিতা জোরদার’
আমীর খসরু বলেন, ‘দক্ষিণ এশীয় রিজিয়নটা সবচেয়ে লিস্ট ইনটিগ্রেটিভ… সবচেয়ে কম আঞ্চলিক সহযোগিতা হয় আমরা সবাই পিছিয়ে আছি এক্ষেত্রে। আমরা সেটাকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবো? এই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে যে ইনটিগ্রেশনটা দরকার শুধু মাত্র অর্থনীতি নয়, সব দিক থেকে একটা ইনটিগ্রেশন দরকার…এটা আমরা কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি তা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।”
‘‘বিএনপির যে পররাষ্ট্র নীতি সকলের সাথে বন্ধুত্ব সেই ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই… দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কসহ সব ধরনের অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনসাধারণ যেখানে উপকৃত হবে, বাংলাদেশ যেখানে উপকৃত হবে সেই ধরনের একটি অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া যেটা বিগত দিনে অনুপস্থিত ছিলো আমরা মনে করি, লেভেল প্লেয়িং ঠিক রেখে দ্বি-পাক্ষিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতাকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো….এসব নিয়েই মূলত আলোচনা করেছি।”