নরসিংদীতে ২ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৮ জন অস্ত্রসহ গ্রেফতার
গ্রেফতাররা হলেন- মাধবদী থানার আমদিয়া এলাকার জাহিদুল হক টিপু, মো. শাহ আলম, সোহাগ মিয়া, পলাশের ঘোড়াশাল এলাকার নূরে আলম, রুবেল, আল আমিন ও আবু তাহের। তারা সবাই ডাকাত দলের সদস্য।
প্রথম নিউজ,নরসিংদী: নরসিংদীতে পৃথক চারটি অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসহ দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে নরসিংদী জেলা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান।
গ্রেফতাররা হলেন- মাধবদী থানার আমদিয়া এলাকার জাহিদুল হক টিপু, মো. শাহ আলম, সোহাগ মিয়া, পলাশের ঘোড়াশাল এলাকার নূরে আলম, রুবেল, আল আমিন ও আবু তাহের। তারা সবাই ডাকাত দলের সদস্য।
অন্যদিকে, সদর উপজেলার আলোকবালী এলাকার আলোকবালী ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দ্বীপু (৫০), আবদুল মতিন মেম্বার (৫৮) ও তাদের পাঁচ সহযোগী, রায়পুরা থানার মির্জারচর এলাকার মির্জারচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাফর ইকবাল মানিক ও স্থানীয় আরও তিন টেঁটাযুদ্ধের হোতা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গতকাল (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মাধবদী থানার আমদিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কুখ্যাত ডাকাত শাহ আলমসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে মাধবদী থানা পুলিশ। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘোড়াশাল মিয়াপাড়া এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বিদেশি পিস্তল, কাভার্টভ্যান ও সিএনজিসহ মোট চার ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয় ।
অন্যদিকে, গত ৩০ জানুয়ারি বিকেলে সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দ্বীপু (৫০), স্থানীয় টেঁটাযুদ্ধের হোতা হিসেবে চিহ্নিত আবদুল মতিন মেম্বার (৫৮), আসাদুল্লা মিয়া ও তাদের ৪ সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের সবার বিরুদ্ধে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে গ্রাম বাসিদের একাধিকভাগে বিভক্ত করে টেঁটাযুদ্ধের উস্কানির অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া, গতকাল রাত ৮টার দিকে রায়পুরা উপজেলার মির্জারচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাফর ইকবাল মানিককে একটি দুই নলা বন্দুক ও চারটি কার্তুজসহ গ্রেফতার করে রায়পুরা থানা পুলিশ। একই দিনে মির্জারচর ও বাঁশগাড়ী এলাকার টেঁটাযুদ্ধের সহকারী হিসেবে চিহ্নিত আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধেও আধিপত্য বিস্তার ও টেঁটাযুদ্ধের মাধ্যমে সহিংসতা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে।
পৃথক চারটি অভিযানে গ্রেফতার আসামিদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগান, ২টি চাইনিজ কুড়াল, ৬টি কার্তুজ, ৫রাউন্ড গুলি, ১টি রামদা, ২টি ছোরা, ১টি কাভার্ডভ্যান ও ১টি সিএনজি জব্দ করা হয় ।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, গ্রেফতারদের মধ্যে ৭ জনই ডাকাত। তাদের সবার বিরুদ্ধেই জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। অন্যদিকে, সদর উপজেলার আলোকবালী এলাকার টেঁটা যুদ্ধের হোতা আসাদুল্লাহ ও তাদের সহযোগীদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর মির্জারচর ও বাঁশগাড়ি এলাকায় টেঁটাযুদ্ধের সহকারী মানিক মিয়ার নামেও পূর্বের খুনসহ একাধিক মামলা রয়েছে।