নির্বাচনের আগের রাতেই সহিংসতা, ছাত্রলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ
মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা শোমসপুর ইউনিয়নের চকহরিপুর গ্রামে এ হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রথম নিউজ, কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার খোকসায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচন কেন্দ্র করে নির্বাচনের আগের রাতেই সহিংসতায় এক ছাত্রলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
নির্বাচনের আগের রাতেই সহিংসতা, ছাত্রলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ
মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা শোমসপুর ইউনিয়নের চকহরিপুর গ্রামে এ হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ যুবক আওয়াল খান কমল চকহরিপুর গ্রামের আবু বক্কর খানের ছেলে। আওয়াল নিজেও ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা যায়। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিমুল খানের ছোট ভাই। এ ছাড়া প্রতিপক্ষের উপজেলার শোমসপুর গ্রামের মৃত জাফরের ছেলে মজনু (৩৫) ও মহম্মদ আলীর ছেলে সোহেল শেখ (৪০) জখম হয়।
জানা গেছে, স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধসহ অন্যদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। আহত ছাত্রলীগ নেতার ভাই আওয়ালের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ছাত্রলীগ সভাপতি শিমুল জানান, রাতে তারা দুই ভাই মাসালিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে জয়ন্তী হাজরার চেয়ারম্যান সকিব খান টিপুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা দুই ভাই দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করেন। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলি তার ভাই আওয়ালের গলার বাম পাশে বিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। পরে তাকে কুষ্টিয়া জেনালের হাসপাতালে স্থানান্তর করে। অপর আহত মজনুর বাবা মহম্মদ আলী দাবি করেন, আহতরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে নৌকা প্রতীকের ভোট চাইতে চকহরিপুর গ্রামে যান। এ সময় শিমুলের লোকজন তাদের ওপর হামলা করেন। জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সকিব খান টিপুর দাবি, রাতে যখন চকহরিপুরে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে তখন তিনি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে জয়ন্তী হাজরা বাজারের পার্টি অফিসে ছিলেন। তিনি দাবি করেন, ছাত্রলীগ সভাপতি নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছিলেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী তার ওপর ক্ষুব্ধ। এ নিয়ে একটি ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছেন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান জানান, গুলিবিদ্ধ আওয়ালের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। অন্যদের অবস্থাও গুরুতর। তাদের সবাইকে কুষ্টিয়ায় স্থানান্তর করা হয়েছে।খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, চকহরিপুরে গ্রামে যে গুলিবিদ্ধ হয়েছে তিনি ঘোড়া মার্কা প্রতীকের কর্মী। অপর আহতরা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী। আহতরা সবাই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews