নির্বাচন ব্যবস্থা রাখতে চাইলে পদত্যাগ করুন: প্রধানমন্ত্রীকে গয়েশ্বর

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ সব কারাবন্দির মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। 

নির্বাচন ব্যবস্থা রাখতে চাইলে পদত্যাগ করুন: প্রধানমন্ত্রীকে গয়েশ্বর
নির্বাচন ব্যবস্থা রাখতে চাইলে পদত্যাগ করুন: প্রধানমন্ত্রীকে গয়েশ্বর

প্রথম নিউজ, ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। তাদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হয় না। দেশে যদি নির্বাচন ব্যবস্থা রাখতে চান প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনি পদত্যাগ করুন। সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। সেই সরকার নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। অবাধ সুষ্ঠু ভোটে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা সরকার গঠন করবে।’ 

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ সব কারাবন্দির মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। 

জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। জাসাসের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকনের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়াকত আলী, মো. জাকির হোসেন, জাহিদুল আলম হিটো প্রমুখ নেতারা।

গয়েশ্বর রায় বলেন, আওয়ামী লীগের লোকেরা বলছে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। কিন্তু সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ১৯৯৫-৯৬ সালেও ছিল না। তখন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত- এই তিন দল মিলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলে মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছরের আগেই তারা সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। সংঘবদ্ধ কারণে সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচনে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়ে সরকার গঠন করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংযুক্ত করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। 

সংবিধান দেশ ও দেশের জনগণের জন্য উল্লেখ করে বিএনপির এ নীতিনির্ধারক বলেন, কোনো ব্যক্তি বা দলের জন্য সংবিধান নয়। আপনারা (আওয়ামী লীগ সরকার) ক্ষমতায় আসার পরেই সর্বপ্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত করেছেন। সংবিধান কুরআন, বাইবেল, গীতা বা অন্য কোনো ধর্মগ্রন্থ নয় যে এটা পরিবর্তন করা যাবে না। সংবিধান পরিবর্তন করা যায়। আপনারাই তা শুরু করেছিলেন। 

সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যদি দেশ চলত, তাহলে আগের রাতে পুলিশ দিয়ে ভোট করত না। নির্বাচনের সময় পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে ভোটারদের নিরাপত্তা দেওয়া। সেখানে পুলিশ প্রতিযোগিতা করেছে কে কত ভোট দিতে পারে। দিনের ভোট আগের রাতে করেছে। মরা মানুষ, ভোটার না এমন ব্যক্তিরাও ভোট দিয়েছে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: