নতুন বছরে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী

প্রাথমিকের প্রথম ও তৃতীয় শ্রেণী এবং মাধ্যমিকে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে।

নতুন বছরে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী
নতুন বছরে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: নতুন শিক্ষাবর্ষে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি। তিনি বলেছেন, আগামী বছর প্রাথমিকের প্রথম ও তৃতীয় শ্রেণী এবং মাধ্যমিকে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সমাবেশে বই ছাপার ক্ষেত্রে ভুল সংশোধন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এ সময় তিনি বলেন, বই ছাপার মধ্যে সমস্যা হলে সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত থাকে। ২০২৩ সালের জন্য যে বইগুলো তৈরি করা হচ্ছে সেগুলোতে কোন ভুল হলে আমরা সেগুলো সংশোধন করেই পৌঁছাচ্ছি।

দীপু মনি আরো বলেন, এই বইগুলো নতুন বই। বইগুলো আমরা ২০২২ সালে পাইলটিং করেছি। আমরা শিক্ষায় রূপান্তর ঘটাচ্ছি অর্থাৎ আমরা কিভাবে পড়াচ্ছি, সেভাবে মূল্যায়ন হবে। সে কারণে ২০২৩ সালেও উল্লেখিত শ্রেণিতে বইগুলো পরীক্ষামূলক সংস্করণ হিসেবে যাবে। তাই সারা বছর আমরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবারো প্রতিক্রিয়া নেব এবং ২০২৪ সালে যে বইগুলো যাবে সেখানে পরিমার্জন, সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন যা দরকার তা করে নিব। মন্ত্রী বলেন, বিগত ২০২১ সালের বইগুলোতে অনেক ভুল ছিল। আমরা সেগুলো অতিমারীর সময় অনেক কাজ করে সংশোধন করেছি। যে কারণে ২০২২ সালে তেমন ভুল ছিল না। এ বছর আশা করছি তেমন ভুল হবে না। যদি হয়, তাহলে আমরা সেগুলো সাথে সাথে সংশোধন করার চেষ্টা করব।

দীপু মনি বলেন, আমরা নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সারাদেশব্যাপী শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আবার যারা প্রশিক্ষক হিসেবে আছেন, তাদেরকেও প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আর এই প্রশিক্ষণ চলছে অনলাইনে। যারা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তারা যখন নতুন বই পেয়ে পাঠদান করবেন প্রথম পাঁচ দিন তাতে ভুল ত্রুটিসহ সমস্যাগুলো দেখবেন। স্কুল বন্ধ থাকার দুই দিন সেগুলো আবার শিখে নিবেন। এইভাবে তারা এগিয়ে যাবেন। শিক্ষাকরা কিভাবে ক্লাশ নিবেন সে বিষয়ে আমরা একটি গাইড লাইন দিয়েছি। শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন হওয়ার কারণে শিক্ষকদের ভূমিকাতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এ কারণে তারা পাঁচ দিন ক্লাশের পর দুইদিন প্রশিক্ষণ পাবেন। অনেকের ধারণা ছিল অনলাইনে ভালো প্রশিক্ষণ হয় না, কিন্তু এখন সেই ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। আমরা সরাসরিও প্রশিক্ষণ দেব, তবে বেশি দূরে যেতে হবে না। সর্বোচ্চ উপজেলা পর্যায়ে এসে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

এ সময় চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো: জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সহ-সভাপতি রহিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌসসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom