দাড়ি রাখতে ভয় পেতেন মঈন আলী

দাড়ি রাখতে ভয় পেতেন মঈন আলী

প্রথম নিউজ, স্পোর্টস ডেস্ক: খেলার ফাঁকে নামাজ পড়ে নেয়া, রোজা রেখেই বাইশ গজে নামা, নারী সাংবাদিকের চোখে চোখ না মিলিয়ে সাক্ষাৎকার দেয়া কিংবা জার্সি থেকে মদ প্রস্তুতকারক কোম্পানির লোগো সরিয়ে নেয়া- সবকিছুই ইংলিশ ক্রিকেটার মঈন আলীর ইসলাম ধর্ম চর্চার বহিঃপ্রকাশ। প্র্যাকটিসিং মুসলিম মঈনের আছে লম্বা দাড়িও। তবে তরুণ বয়সে দাড়ি রাখতে ভয় পেতেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত এই ক্রিকেটার।

স্কাই স্পোর্টসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মঈন আলী বলেন, যখন দাড়ি রাখার মনস্থ করেন, তখন তাকে উগ্রবাদী ভাবা হবে বলে ভয় হতো তার। তিনি জানান, ইংল্যান্ডে থেকে ধর্ম পালনের অনুপ্রেরণা পান বিশ্ব বিখ্যাত বক্সার মোহাম্মদ আলী থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার হাশিম আমলাও মঈনের অনুপ্রেরণা ছিলেন। মঈন বলেন, ‘মোহাম্মদ আলী আমার জন্য বিশাল অনুপ্রেরণা ছিলেন। কারণ যেভাবে তিনি বেড়ে উঠেছিলেন এবং একজন মুসলিম ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার হাশিম আমলারও বড় দাড়ি ছিল। তিনি রাখতে পারলে, আমি কেন পারব না?’ 

মঈন বলেন, ‘আমি এটাই (দাড়ি রাখতে) করতে চেয়েছিলাম, তবে একটু ভয়ও ছিল। তখন বয়সে তরুণ ছিলাম। আমি চাইনি লোকে, এমনকি আমার পরিবারও আমাকে উগ্রবাদী ভেবে নিক। সে সময় লোকে বলাবলি করতো- মুসলিম মানেই উগ্রবাদী।’
কাশ্মীরের মিরপুর থেকে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন মঈন আলীর দাদা। তবে তার দাদি বেটি বক্স ছিলেন একজন শ্বেতাঙ্গ বৃটিশ। এ কারণে তাকে মিশ্র বর্ণের মনে করা হয়। মঈন বলেন, ‘আমার প্রথম পরিচয় হলো আমি মুসলিম। দ্বিতীয়ত ইংলিশ এবং তৃতীয়ত আমি পাকিস্তানি। মঈন বলেন, ‘ইংল্যান্ডের প্রতি আলাদা টান অনুভব করি। মায়ের কারণে পাকিস্তানের প্রতিও একই অনুভূতি হয়। সেখানে ফিরতে ভালো লাগে। তবে আমি সব সময়ই ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে চেয়েছি।’
কখনো কি দাদার দেশ পাকিস্তানের হয়ে খেলার ইচ্ছা হয়নি মঈনের? উত্তরে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় পাকিস্তানকে যে সমর্থন করেছি, সেটা বলব না। তবে পাকিস্তান দলের ওপর চোখ রাখতে হতো, কারণ পরিবার তা করত। কিন্তু আমি ভেতর থেকেই বুঝতাম, ইংল্যান্ডের সমর্থন করি। সব সময় চাইতাম দলটা ভালো করুক। সেটা ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে কি না, তা জানি না।’