দেশজুড়ে চলছে যৌন নির্যাতন, খবর নেই চিনের গণমাধ্যম, সরব নাগরিকরা
চিনের অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যমগুলিকে চিন সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে। চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি যা বলছে তাই হচ্ছে, সে দেশের বাড়তে থাকা যৌন নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে
প্রথম নিউজ ডেস্ক: চিনের অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যমগুলিকে চিন সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে। চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি যা বলছে তাই হচ্ছে, সে দেশের বাড়তে থাকা যৌন নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে এভাবেই চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্জে উঠল সে দেশের নাগরিকদের একাংশ। এক কুখ্যাত অপরাধীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে এমন অভিযোগে সরব হয়েছেন নাগরিকরা। অভিযোগ, বর্তমানে জেলবন্দি ওই অপরাধী দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের ধর্ষণ করে তাঁদের পতিতালয়ে জোর করে আটকে রাখত, অথচ এই বিষয়ে কখনই খবর করেনি চিনের সংবাদ মাধ্যমগুলি। সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংহাইয়ের বাসিন্দা ওই অপরাধী বহু মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। পরে সেই মেয়েদেরই একটি পতিতালয়ে বন্দি করে রাখত। ধনীরা মোটা অর্থের বিনিময়ে ওই মেয়েদের ভোগ করত। ওই অপরাধীর নাম জহো ফুকিয়াং। অসহায় গরিব গ্রামের মেয়েদের সে টার্গেট করত। প্রথমে জোর করে পতিতালয়ে ঢোকাত। যদিও ওই পতিতালয়টিকে জনসমক্ষে সেলুন বলে চালাত সে। এরপরই ধনী পুরুষদের কাছে ওই মেয়েদের বিক্রি করে দিত সে। উল্লেখ্য, অপরাধী জহোকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ধর্ষণ ও অন্য অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছেিল। পরে তার মৃত্যুদণ্ড রদ হয়ে যায়।
চিনা নাগরিকরা সে দেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেছেন, এমন মারাত্মক অপরাধ ও অপরাধী সম্পর্কে ভেবেচেন্তেই খবর করেনি সরকার নিয়ন্ত্রিত অধিকাংশ চিনা মিডিয়া। এক নাগরিক লেখেন, “সাংহাইতে যে অন্যায় হচ্ছে তা নিয়ে খবর নেই, আপনারা কেবল আমেরিকা আর ইংল্যান্ড নিয়ে আস্ফালন করে চলেছেন।” একজন লিখেছেন, “দেশটা (চিন) ক্রমশ নর্থ কোরিয়া হয়ে উঠছে। আপনারা আমাদের বোকা ভাবছেন!” নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একজন লিখেছেন, “আমি সত্যিই মনে করি, আমাদের সভ্য, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন হতে এখনও অনেকটা পথ যেতে হবে।”
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: