ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ খুবি-কুয়েট শিক্ষার্থীদের

সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে শিক্ষার্থীরা খুবি ও কুয়েট শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসে মহাসড়কে অবস্থান নেন।

ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ খুবি-কুয়েট শিক্ষার্থীদের

প্রথম নিউজ, অনলাইন : কোটা সংস্কারের দাবি ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের জিরো পয়েন্ট এলাকা অবরোধ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে শিক্ষার্থীরা খুবি ও কুয়েট শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসে মহাসড়কে অবস্থান নেন। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে জিরো পয়েন্ট ছেড়ে দুই কিলোমিটার দূরে একই মহাসড়কের সাচিবুনিয়া মোড় অবরোধ করে শত শত শিক্ষার্থী। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) পর্যন্ত অবরোধ রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, রবিবার বিকেলে চীন সফর নিয়ে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তাদের এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে না তো কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে? এটি দেশবাসীর কাছে আমার প্রশ্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে তারা ক্ষুব্ধ। এর প্রতিবাদ জানাতেই তারা বিক্ষোভ মিছিল করছেন।
এ সময় তাদের ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’। ‘চাইলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার’ সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘মেধা না কোটা? মেধা- মেধা’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না, আর না’, ‘কোটার বিরুদ্ধে -লড়াই হবে একসাথে’  এমন সব স্লোগান দিতে শোনা যায়।
জিরোপয়েন্ট এলাকাটি খুলনা নগর ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত। ঢাকা, সাতক্ষীরা, যশোরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চারটি সড়ক এসে মিলিত হয়েছে সেখানে। খুলনা নগরে প্রবেশের অন্যতম পথও সেটি।
জিরোপয়েন্ট এলাকাটি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) হরিণটানা থানার মধ্যে। ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন। পুলিশও শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রেখেছে। আন্দোলনের কারণে চারটি সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।’