ডিজিটাল সিকিউরিটিসহ সব কালাকানুন আইন বাতিল করা হবে : মির্জা ফখরুল

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এটা আমরা বহু আগে থেকেই জানি। এই কারণে বলে দিয়েছি যে বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে না। পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি। এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া মানেই হচ্ছে, তাদের আরও বৈধতা দেওয়া।

ডিজিটাল সিকিউরিটিসহ সব কালাকানুন আইন বাতিল করা হবে : মির্জা ফখরুল
বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

প্রথম নিউজ, ঢাকা:  বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ডিজিটাল সিকিউরিটিসহ সব কালাকানুন আইন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এটা আমরা বহু আগে থেকেই জানি। এই কারণে বলে দিয়েছি যে বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে না। পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি। এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া মানেই হচ্ছে, তাদের আরও বৈধতা দেওয়া।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপিপন্থী ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন।

‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আর রাষ্ট্রের স্বাধীনতা আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই’ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সংবাদপত্র এবং গণতন্ত্রের স্বাধীনতা যেহেতু একই জায়গায়, তাহলে গণতন্ত্রের স্বাধীনতা না পেলে আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কীভাবে পেতে পারি? সেজন্য আমাদের এখন মূল লক্ষ্য হচ্ছে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘যারা বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্র হরণ করেছিল, তাদের কাছ থেকে তো গণতন্ত্র পেতে পারি না। এখন রাষ্ট্র, জাতি, সংবাদপত্র, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রক্ষা করতে হলে, গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’

মির্জা ফখরুলের দাবি, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছে, ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করেছে। আর বিএনপি সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে, বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছে এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছে।’

বিএনপির মূল লক্ষ্য গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমাদের সব মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে। সব শ্রেণির, পেশার মানুষকে জাগিয়ে তুলে গণতন্ত্রের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেই আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দিতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রয়েছে। এতকিছুর পরও আমরা কিন্তু থেমে নেই, কাজ করছি। চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়া এবং দেশকে মুক্ত করার বিষয়ে কোনো ঘাটতি নেই। আমরা নিঃসন্দেহে সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাব। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনব। এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমরা বিশ্বাস করি সফল হব।

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনসহ সব কালাকানুন বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাতিল করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের মগজে ঢুকে গেছে। তারা মানুষকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে যে কিছু লিখতে গেলে, বলতে গেলে বারবার ভাবতে হচ্ছে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, ইলিয়াস খান প্রমুখ।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom