ডাচ্-বাংলার আরও ৫৮ লাখ টাকা উদ্ধার, মূলপরিকল্পনাকারীসহ গ্রেপ্তার আরও ৩

রাজধানী উত্তরায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের গাড়ি থেকে সোয়া ১১ কোটি টাকা লুটের ঘটনায় আরও ৫৮ লাখ ৭ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে

ডাচ্-বাংলার আরও ৫৮ লাখ টাকা উদ্ধার, মূলপরিকল্পনাকারীসহ গ্রেপ্তার আরও ৩
ডাচ্-বাংলার আরও ৫৮ লাখ টাকা উদ্ধার, মূলপরিকল্পনাকারীসহ গ্রেপ্তার আরও ৩

প্রথম নিউজ, ঢাকা : রাজধানী উত্তরায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের গাড়ি থেকে সোয়া ১১ কোটি টাকা লুটের ঘটনায় আরও ৫৮ লাখ ৭ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৭ কোটি ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে আকাশ নামে একজনকে কিছুক্ষণ আগে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তার কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে কিনা সেটি তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি। তিনি টাকা লুটের মূল পরিকল্পনাকারীদের একজন। গতকাল ঢাকার বনানীর কড়াইল বস্তি থেকে হৃদয় নামে একজনকে গ্রেপ্তারের পর ৪৮ লাখ ৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে নেত্রকোনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নীরব নামে একজনকে। গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে আরও ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে সব মিলে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এই ঘটনার আরও একজন পরিকল্পনাকারী হলেন সোহেল রানা। তাকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও তিনি ডিবির জালে আছেন। উল্লেখ্য, গত ৯ই মার্চ সকালে এটিএম মেশিনে টাকা রিফিল করতে সাভারে যাওয়ার পথে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের (ডিবিবিএল) একটি গাড়ি থেকে সোয়া ১১ কোটি টাকা ডাকাতি হয়। রাজধানীর তুরাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। টাকা পরিবহনের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা 'মানি প্ল্যান্ট' এর কর্মকর্তারা ৪টি ট্রাঙ্কে টাকা নিয়ে মিরপুর ডিওএইচএস থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে সাভার ইপিজেডের দিকে যাচ্ছিলেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর, পুলিশ ডাকাতি হওয়া ৩টি ট্রাঙ্ক উদ্ধার করে এবং মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের ২ পরিচালকসহ ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। তবে অপরাধের সঙ্গে যোগসূত্র না পাওয়ায় শুক্রবার তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

কিন্তু পরে তুরাগ থানায় ট্রাঙ্কগুলো খুলে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মানি প্ল্যান্টের পরিচালক (অপারেশন্স) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ঢাকা, সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গত শনিবার ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২ কোটি ৫৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা
 Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: