যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তনে প্রচেষ্টা চালানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেছেন, তারা যাতে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে আমরা সেই প্রচেষ্টাই চালাব।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দেশটি অবস্থান পরিবর্তনে প্রচেষ্টা চালানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, তারা যাতে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে আমরা সেই প্রচেষ্টাই চালাব।
আজ মঙ্গলবার ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ঢাকা সফর নিয়ে তুরস্ক থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আমাকে আলোচনা করে একটি করে উত্তর দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। প্রতিনিয়ত তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করছি। তারা যাতে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে আমরা সেই প্রচেষ্টাই চালাব।’
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দফতর।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ রয়েছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। বেনজীর আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দফতর। একই সঙ্গে তিনি দেশটির ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন।
এছাড়া র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হঠাৎ করে কেন তারা নিষেধাজ্ঞা দিলো এটা নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। ওদের সিদ্ধান্তে ভুল হয়। এর অনেক নজির আছে। ওনাদেরও অনেক পরিপক্ক ও জ্ঞানী লোক আছেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৬ লাখ লোক নিখোঁজ হয়। সেখানেও বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রে যারা এসব করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি নেওয়ার কথা আমি কোনোদিন শুনিনি।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: